• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলবাড়ীতে বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০৪:০৭ পিএম
ফুলবাড়ীতে বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কুড়িগ্রাম : জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বানীদাহ নদীতে একটি ব্রিজ না থাকার কারণে হাজার হাজার লোকজন বিছিন্ন হয়ে পড়েছে উপজেলা থেকে। উপায়ন্ত না পেয়ে নিজেদের প্রচেষ্টায় বাশেঁর সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। এলাকার লোকজন বারবার প্রশাসনের নজরে দিয়েও কোন ফলাফল পায়নি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বানীদাহ নদীটি ধরলার একটি শাখা নদী। মাত্র দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদীটি ভারতের কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার সীমান্তবর্তী মরাকুটি গ্রাম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতিবছর বন্যা শুরু হলেই ধরলার পানি প্রবেশ করে নদীটির দুইপার বন্যাপ্লাবিত হয়। ফলে ওই নদীটির দুইপারের শত শত পরিবার প্লাবিতসহ তীব্র ভাঙনের শিকার হন। শুকনো মৌসুমেও নদীটির গভীরতা বেশি থাকার ফলে সহজে কেউ পারাপার হতে পারে  না। হয়ে পড়ে যোগাযোগ বিছিন্নতা। দুই পাড়ের কৃষকরা আবাদী জমিতেও ফসল ফলাতে দুর্ভোগে পড়েন।

এ ছাড়াও প্রতিদিন বোয়ালমারী, উত্তর শিমুলবাড়ী, কিশামত শিমুলবাড়ী, নাওডাঙ্গা, শালমারী, তালুক শিমুলবাড়ী, খারুয়ার চড়, গোরকমন্ডল, চরগোরক মন্ডল, পশ্চিম ও পূর্ব ফুলমতি, ঝাউকুটি গ্রামের হাজার হাজার লোকের চলাচলের করতে হয় এ বাঁশের সাঁকোটি দিয়ে। বালারহাটে আসতে হয় প্রায় ১২ কিমি ঘুরে। যদিও বাঁশের সাঁকোটি এলাকার লোকজন নিজেদের প্রয়োজনে তৈরি করেছেন কিন্তু বর্তমানে সাঁকোর উজানে কচুরি পানা নদীতে ভরে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙেও যেতে পারে!

অন্যদিকে সংযুক্ত সড়ক নতুনভাবে নির্মিত হলেও ব্রিজ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে দুই পাড়ের লোকজনকে। এক সময় বানীদাহ নদী পারাপারের জন্য স্থানীয় লোকজন নিজের প্রচেষ্টায় সাঁকো তৈরি করলেও তা ভেঙে যায়। আবার নতুন ভাবে সাঁকোটি তৈরি করে কোনো রকম চলাফেরা করছেন।

নদীটির দুই পাড়ে রয়েছে ঝাউকুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরগোরক মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিশামত শিমুলবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওডাঙ্গা স্কুল ও কলেজ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই পারাপার হতে হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় আব্দুল হামিদ, হায়দার, শাহজামাল, আসাদুল, অনীল, নবিউল, ইব্রাহীম, হোসেন আলী জানালেন, কিশামত শিমুলবাড়ীর এ বানীদাহ নদীতে একটি ব্রিজ হলে হাজার হাজার লোকজন চরম ভোগান্তি থেকে রেহাই পাব।

নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন জানালেন, আমি বহুবার এখানে একটি ব্রিজ করার জন্য আবেদন করেছি। এখনো আবেদন জানাচ্ছি। এখানে একটি ব্রিজ হউক। এলাকার লোকজনের এটা দীর্ঘদিনের দাবি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!