• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফুলবাড়ীয়ায় তদন্ত শুরু, তোপের মুখে ইউএনও


ময়মনসিংহ প্রতিনিধি নভেম্বর ৩০, ২০১৬, ০৩:৪৭ পিএম
ফুলবাড়ীয়ায় তদন্ত শুরু, তোপের মুখে ইউএনও

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া কলেজ জাতীয়করণের দাবিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে কলেজ শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ ও মাছ বিক্রেতা সফর আলী নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছেন মানবাধিকার কমিশনের ৪ সদস্যের তদন্ত টিম।

বুধবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১১.৩৫ মিনিটে ফুলবাড়ীয়া কলেজে টিম পৌঁছে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বক্তব্য নোট করা শুরু করেন। এ সময় তদন্ত টিমের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লীরা তরফদার কলেজে প্রবেশ করলে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে পুলিশি প্রহরায় কলেজ থেকে বের হয়ে আসেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল থেকে স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করলে সকাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ কলেজে প্রবেশ করে। আপাতত কলেজে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তবে মিডিয়াকর্মীদের যথেষ্ট ভীড় দেখা গেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকার সঙ্গে কালো পতাকা উড়ছে। ঐদিন আহত শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতস্থানগুলো তদন্ত টিম ও মিডিয়াকর্মীদের দেখান।

অন্যদিকে কলেজের মূল ফটক ও প্রশাসনিক ভবনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের শোক ব্যানার টানানো হয়েছে। এদিকে চার সদস্য তদন্ত টিমের প্রধান মানবাধিকার কমিশনার প্রফেসর আক্তার হোসেন তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, যেহেতু পুলিশ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর চার্জ করেছে সুতরাং এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তদন্ত টিমের অন্য তিন সদস্যরা হলেন মানবাধিকার কমিশনের (অপরাধ ও অনুসন্ধান) পরিচালক শরিফ উদ্দিন, কমিশনের সদস্য জয়দেব চক্রবর্তী ও আনিসুর রহমান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২৭ নভেম্বর ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারিকরণের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংর্ঘষের সময় দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে একজন কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ এবং অন্যজন স্থানীয় মাছ বিক্রেতা সফর আলী। পরবর্তী সময়ে ফুলবাড়িয়া থানার এসআই রফিক পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ এনে ওই দিন রাতে একটি মামলাও করেছেন। সেই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।  ঘটনার পরদিন (২৮ নভেম্বর) সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পৌর শহরে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ জারি করা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর বিকেলে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে থাকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!