• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ফের শাস্তির মুখে হকি তারকা জিমি


ক্রীড়া প্রতিবেদক এপ্রিল ৭, ২০১৭, ০৭:৫৩ পিএম
ফের শাস্তির মুখে হকি তারকা জিমি

ঢাকা: ২০১৪ সালে হকি ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারন সম্পাদকের বক্তব্য দিয়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। পরের বছর অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ফিরেছিলেন। কিন্তু আবারও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আনা হয়েছে সদ্য সমাপ্ত ‘হকি ওয়াল্ড লিগে’ বাংলাদেশের অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছেন এই তারকা হকি ফরোয়ার্ড। শনিবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। নয়তো কঠিন শাস্তি মুখে পড়তে হবে।’

হকি ফেডারেশনের অভিযোগ, টেলিভিশনের টকশোতে বাহফে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন জিমি। তাছাড়া সেনাবাহিনীর একজন খেলোয়াড়ের সাথে দুর্ব্যবহারও করেছেন। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর তরফে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে ফেডারেশনে। খেলার সময় মাঠের মধ্যে পাস না দিলে তরুণ খেলোয়াড়দের গালিগালাজ করতেন জিমি। এমন বেশ কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে শোকজ নোটিশ দেয়া হয় জিমিকে।

এ প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এক জনের জন্য দশ জন নষ্ট হোক, সেটা আমরা চাই না। জিমি যদি দোষী প্রমানিত হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক বলেন, ‘জিমির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। টেলিভিশনে অযাচিত কথা বলেছে। সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তারা লিখিত অভিযোগও করেছে ফেডারেশনে। তাই তাকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সশরীরে এসে আপিল করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বড় ধরনের শাস্তি অপেক্ষা করছে তার জন্য।’

জিমিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। দোষী প্রমাণিত হলে কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করেছে তার জন্য। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন আসন্ন এশিয়া কাপের স্কোয়াড থেকে।

পর্যাপ্ত প্রস্তুতির পরও এবার দেশের মাটিতে ওয়াল্ড হকি রাউন্ড টু-তে ব্যর্থ হন জিমিরা। এর প্রভাব পড়ে র‌্যাঙ্কিংয়েও। দুই ধাপ নেমে লাল-সবুজের অবস্থান ৩৪। অভিযোগ উঠছে সিনিয়র-জুনিয়রদের সমন্বয়ের অভাবেই এই ব্যর্থতা।

২০১৪ সালে এশিয়া কাপ চলাকালে শৃংখলাভঙ্গ এবং এশিয়া কাপে বাজে খেলার অপরাধে জিমিকে তিন বছরের জন্য জাতীয় দলে এবং দুই বছরের জন্য ঘরোয়া হকি লিগে খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল তৎকালীন জাতীয় দলের পাকিস্তানী কোচ নাভিদ আলম এবং তদন্ত কমিটি। ওই এশিয়া কাপে ব্যর্থতার জন্য জিমিসহ চার খেলোয়াড়ের দেশাত্মবোধ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল।

এদিকে জাতীয় দল নির্বাচক কমিটির সমন্বয়কের নতুন দায়িত্ব পাওয়া মাহবুবুল এহসান রানা জানিয়েছেন এশিয়া কাপ হকির দলে এবার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে শৃঙ্খলা। অথচ দলের সবচেয়ে বড় তারকার বিরুদ্বেই কিনা শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ! দলের জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়রা যদি এমন আচরণ করেন তাহলে তাদের থেকে কি শিখবে নবীনরা? সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!