ফ্রান্স ফাইনালে উঠতেই বিশ্বকাপের স্বপ্নপূর্ণ হলো আফ্রিকার!

ঢাকা: আফ্রিকায় নাকি একটি অঘোষিত নিয়ম আছে। বিশ্বকাপে যদি নিজেদের দেশ সুযোগ না পায় তাহলে আফ্রিকারই অন্য দেশকে সমর্থন করতে হবে আফ্রিকানদের। যে সব দেশ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা যদি ছিটকে যায় তাহলে অন্য আফ্রিকার দেশকেই সমর্থন করেন আফ্রিকানরা।

এমনকি যদি সে আপনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীও হয় তবু আফ্রিকার দেশকে সমর্থন করার রীতি রয়েছে আফ্রিকায়। ভারত বা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো যেমন ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা বা জার্মানির হয়ে গলা ফাটায় তেমন রীতি নেই আফ্রিকায়। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্সের জন্য গলা ফাটাচ্ছে আফ্রিকার প্রায় এক ডজন দেশ। কারণটা কী?

আসলে এবারের বিশ্বকাপে যে পাঁচটি আফ্রিকার দেশ সুযোগ পেয়েছিল তাঁরা কেউই গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি। সেনেগাল, নাইজেরিয়া, মরক্কোর মত দেশগুলো লড়াই করে বিদায় নিলেও সেভাবে দাগই কাটতে পারেনি তিউনিশিয়া এবং মোহাম্মদ সালাহর মিশর। বলা যায়, গ্রুপ পর্বেই প্রায় শেষ হয়ে যেতে বসেছিল আফ্রিকার বিশ্বকাপ। কিন্তু তা বাঁচিয়ে রাখল ফ্রান্স।

গোটা পৃথিবীর বিশেষ করে আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের মানুষের বাস ফ্রান্সে। তাই ফ্রান্সের জাতীয় দলের ফুটবলরাদেরও একটা বড় অংশের আফ্রিকার সঙ্গে নাড়ির সংযোগ রয়েছে।  তাঁরা হয় আফ্রিকার বংশোদ্ভুত বা তাদের বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজন আফ্রিকার বাসিন্দা। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ দলের ২৩ জন সদস্যের মধ্য অন্তত ১৫ জনের রয়েছে আফ্রিকার কানেকশন।

এর মধ্যে রয়েছেন এই বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে (আলজেরিয়া), পল পগবা (গিনি), এনগোলো কন্তে (মালি), স্যামুয়েল উমতিতি (ক্যামেরুন)। এছাড়াও রয়েছেন উসমান ডেম্বেলে (সেনেগাল), ব্লাইস মাতুইডি (কঙ্গো) , নবিল ফেকিরের (আলজেরিয়া) মতো ফুটবলাররা। যারা প্রায়ই প্রথম একাদশে থাকেন বা পরিবর্ত ফুটবলার হিসেবে নামেন। এক কথায় বলা যায়, ফ্রান্সের দলটা গোটা আফ্রিকা মহাদেশের মিনি সংস্করণ। স্বাভাবিকভাবেই আফ্রিকা গলা ফাটাচ্ছে, ফ্রান্সের জন্যই। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অবশ্য আফ্রিকার দুটি দেশের পছন্দ ইংল্যান্ড। কারণ ইংল্যান্ডের দুই তারকা ডেলে আলি (নাইজেরিয়া) এবং ডানি ওয়েলবেকেরও (ঘানা) আফ্রিকার সঙ্গে যোগ রয়েছে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই