• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফায় লড়বেন মাক্রোঁ-পেন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক এপ্রিল ২৪, ২০১৭, ০৫:০২ পিএম
ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফায় লড়বেন মাক্রোঁ-পেন

বামে নিজে ভোট দেয়ার পর বের হচ্ছেন মারিন ল্য পেন এবং ডানে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়াচ্ছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ।

ঢাকা: ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটে এগিয়ে রয়েছেন মধ্যপন্থি হিসেবে পরিচিত সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং চরম দক্ষিণপন্থি ন্যাশানাল ফ্রন্ট দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন। ফলে এই দু’জনের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।  

কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রোববার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১১জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট প্রথম হন এমানুয়েল মাক্রোঁ। মারিন ল্য পেন ২২ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

জনমত সমীক্ষায়ও এগিয়ে ছিলেন এই দুজন। তাই নির্বাচনের ফলাফলে কোন রকম চমক আসেনি। তবে এ দুই নেতা কেউই মূল স্রোতের দুই প্রধান রাজনৈতিক শিবির – রক্ষণশীল বা সমাজতন্ত্রী দলের নন। সবচেয়ে তরুণ প্রার্থী মাক্রোঁ মধ্যপন্থি হিসেবে তার ইমেজ রয়েছে। এছাড়া তিনি ‘এগিয়ে চলো’ নামের এক আন্দোলনের নেতা। আর মারিন ল্য পেন বেশ জোড়ে সোরেই আওয়াজ দিচ্ছেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসবেন। তাছাড়া তিনি আভিবাসন বিরোধীও।

ফলে ৭ মে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীর মধ্যে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হবে বলে ধারণা করছে সবাই। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ভোটের উপর শুধু ফ্রান্সেরই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক কিছু নির্ভর করছে।

নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে রাজধানী প্যারিসে ‘জঙ্গি হামলা’ নির্বাচনকে অনেকটাই প্রভাবিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। এ জন্য দেশটিতে ৫০ হাজার পুলিশ ও ৭ হাজার সেনা মোতায়ন করা হয়। তবে তেমনটা ঘটেনি।

শেষ পর্যন্ত যেই জয়ী হোন না কেন, তিনি আগামী ১৪ মে-র মধ্যে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-এর কাছ থেকে কার্যভার গ্রহণ করবেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেও গরম থাকবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক জগত। কারণ তার ঠিক পর – অর্থাৎ ১১ ও ১৮ই জুন সংসদ নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এমানুয়েল মাক্রোঁ যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তার পক্ষে সংসদ নির্বাচনে লড়াই করা কঠিন হবে, কারণ মাত্র এক বছর আগে তার আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তার কাঠামো এখনো পাকাপোক্ত হয়নি। সংসদ নির্বাচনে প্রতিষ্ঠিত দলগুলির সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!