• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে খুবই যত্নশীল ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ


নিউজ ডেস্ক জুলাই ২১, ২০১৬, ১২:০৪ পিএম
বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে খুবই যত্নশীল ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ

প্রচ্ছদে কখনো দারুচিনি দ্বীপ, কখনো দাড়কাকের সংসার। কখনো এই মেঘ এই রৌদ্রছায়া, কখনো আবার আনন্দ বেদনার কাব্য, জলপদ্ম কিংবা জোছনা ও জননীর গল্প।

প্রচ্ছদেই যেনো গল্পটাকে ফুটিয়ে তোলার অদ্ভুত এক খেলায় মত্ত থাকতেন হুমায়ূন আহমেদ। তাই বুঝি শুধু হিমু আর শুভ্রতে নয়, প্রচ্ছদের রঙেও বুঁদ হয়ে থাকতেন পাঠকরা।

ভাদ্র মাসের সন্ধ্যা, আকাশে মেঘ আছে, লালচে রঙের মেঘ। যে মেঘে বৃষ্টি হয় না, তবে দেখায় অপূর্ব। 

রঙ নিয়ে এমন অনুভূতি হুমায়ূন আহমেদের সর্বশেষ উপন্যাস দেয়ালের শুরুতেই। শুধু উপন্যাসের প্রতিটি পৃষ্ঠায় নয়, দেয়ালের প্রচ্ছদেও একেঁ দিয়েছেন রঙ তুলির সাদামাটা আঁচড়। প্রচ্ছদ জুড়ে রক্তের এমন ছিটেফোটা হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশের রক্তাক্ত জনপদের গল্পই বলে।

প্রচ্ছদ নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ভীষণ খুঁতখুতে। সাদা পৃষ্ঠায়, কলম-কালিতে শব্দের সাথে যেমন খেলা করতেন, যেমন করে পাঠকের হৃৎপিন্ডে গেঁথে দিতেন হিমু, রূপা, শুভ্র কিংবা মিসির আলীর রহস্যময়তাকে। ঠিক তেমনি প্রতিটি বইয়ের প্রচ্ছদের সাথে ছিলো তার এক অদ্ভুত সখ্যতা।

এই কথা সাহিত্যিকের প্রথম প্রকাশিত এবং জনপ্রিয় উপন্যাস নন্দিত নরকে। যার প্রচ্ছদে ভালোবাসার আচড় কেটেছিলেন প্রয়াত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। নন্দিত নরকেই একমাত্র বই, যার প্রচ্ছদের পটভূমি পাল্টেছিল একাধিকবার।

হুমায়ুন আহমেদের বেশিরভাগ বইয়ের প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইয়ের মোড়কে এলেও, নিজেকে যিনি আড়ালে রেখেছেন সবসময়ই। প্রথমবারের মতো টিভি পর্দায় এই প্রচ্ছদশিল্পী, জানালেন বিচিত্র সেই অভিজ্ঞতার কথা

যদিও হাজার কাজের ভিড়ে ছায়াবিথী বইয়ে শুকনো পাতার প্রচ্ছদই ধ্রুব এষের প্রথম পছন্দ।

জোছনা ও জননীর গল্প থেকে শুরু করে হিমু সিরিজের শেষ বই, কিংবা হুমায়ূন আহমেদের জীবনের শেষ উপন্যাসেও প্রচ্ছদের কাজ করেছেন আরেক প্রচ্ছদ শিল্পী মাসুম রহমান।

যদিও, কখনোই নিজের বইয়ের প্রচ্ছদে আঁকা হয়নি হিমুর হলুদ পাঞ্জাবি কিংবা রুপার নীল শাড়ি। তবুও, অগনিত পাঠকের হৃৎপিন্ডে জীবন্ত প্রচ্ছদ হয়ে হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকবেন অনাদিকাল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এএম

Wordbridge School
Link copied!