• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু রচিত দুটি বই জাতির অমূল্য সম্পদ


বিশেষ প্রতিনিধি মে ৩০, ২০১৭, ০৫:৫২ পিএম
বঙ্গবন্ধু রচিত দুটি বই জাতির অমূল্য সম্পদ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত দুটি বই জাতির মূল্যবান সম্পদ এবং তা সকল বাঙালির জন্য অবশ্যপাঠ্য। কারণ এ দুটি বইয়ে এই উপমহাদেশের অনেক রাজনৈতিক ইতিহাস ফুটে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন সত্যি, তবে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তার রাষ্ট্রভাবনায় ছিল না।

মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে রাজধানীর পুরাতন সচিবালয় সড়কে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে কারাগারের রোজনামচা : ‘দ্য আনফোল্ডিং অব বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক বঙ্গবন্ধুর সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত দুটি গ্রন্থের ওপর পর্যালোচনামূলক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

এদিন সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর আমিরুল ইসলাম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক সাধারণ সভা হয়েছে।

উভয় গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু, বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ ও নেতৃত্ব, বঙ্গবন্ধুর বর্ণনায় নিজের স্বভাব-প্রকৃতি ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রভাবনা ইত্যাদি বিষয়ে আলোকপাত করে প্রবন্ধকার বলেন, “বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন সত্যি, তবে ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান তার রাষ্ট্রভাবনা ছিল না।

দেশ বিভাগের প্রাক্কালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাসিম, শরৎচন্দ্র বসু, কিরণ শংকর রায় প্রমুখের নেতৃত্বে গৃহীত স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার  উদ্যোগের সঙ্গে নিজেকে সরাসরি যুক্ত করে বাংলার বিভক্তি রোধ ও বর্তমানে যেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের অবস্থিতি ভারতের সেই উত্তরপূর্ব অঞ্চলে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কলকাতায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালনে সচেষ্ট হয়েছিলেন।

নানা কারণে সেদিনের ওই উদ্যোগ সফল না হলেও ১৯৭১ সালে তাঁর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র গঠনের ভাবনার সফল বাস্তবায়ন ঘটে। ইতিহাসে এই প্রথম বাঙালিরা সত্যিকার অর্থে স্বাধীন হয়।” বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা বই দুটিকে জাতির মূল্যবান সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে বাঙালি মাত্রই তা অবশ্যপাঠ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি এও বলেন যে, এ গ্রন্থ দুটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু নতুন করে আমাদের সম্মুখে উদ্ভাসিত, যাকে বলা যায় ‘আনফোল্ডিং অব বঙ্গবন্ধু’। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রওনক জাহান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় এবং অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। অনুষ্ঠানে অসংখ্য শ্রোতা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/জেএ

Wordbridge School
Link copied!