• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
জঙ্গি উত্থান-পতনে বছর পার

বছর কেটেছে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কায়


বিশেষ প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২২, ২০১৬, ১১:০২ এএম
বছর কেটেছে ভয়, আতঙ্ক আর শঙ্কায়

বছর শেষ প্রায়। বছরজুড়েই রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল স্থিতিশীল। তবে জঙ্গিবাদ ভয়ঙ্করভাবে গ্রাস করে শান্তির পরিবেশ। জঙ্গি উত্থান ঘটনায় দেশজুড়ে ভয়, আতঙ্ক, আর নানা শঙ্কা দানা বাঁধে। বছরের মাঝামাঝিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয় বাংলাদেশ। ধারাবাহিক জঙ্গি হামলায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কিন্তু প্রতিটি হামলা দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পতন ঘণ্টাও বাজে জঙ্গিদের। বলা যায়, জঙ্গি উত্থান যেভাবে ঘটে, সেভাবেই আসে পতনের ডাক। ‘রক্তের খেলা’ খেলে যে হামলা শুরু করেছিল জঙ্গিরা, তা রক্ত দিয়েই পতনকে ত্বরান্বিত করে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট শুধু মুন্সীগঞ্জ বাদে দেশের ৬৩টি জেলায় সাড়ে ৪০০ স্থানে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। আর এ ঘটনার মধ্য দিয়েই নিজেদের ‘আগমনী বার্তা’ দেয় জঙ্গিরা। এরপর গত ১ জুলাই জঙ্গিরা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বড় ধরনের নাশকতার ‘শক্তি পরীক্ষা’ দেয়। ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাতকে টার্গেট করে জঙ্গিরা। আর গত ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের একটি ভবনে নাশকতার সৃষ্টির আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে নিহত হয় ৯ জঙ্গি।

এরপর ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরীসহ তিনজন, ১ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে তামিমের সেকেন্ড ইন কমান্ড ‘মেজর মুরাদ’ নিহত হয়। ১০ সেপ্টেম্বর পুরান ঢাকার লালবাগে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে তেহজীব করিম ওরফে আবদুল করিম নামে এক জঙ্গি আত্মহত্যা করে ও তিন জঙ্গির পরিবারকে হেফাজতে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

৮ অক্টোবর গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে একযোগে পৃথক অভিযান চালায় র‌্যাব-পুলিশ। এ অভিযানে ১২ জন জঙ্গি নিহত হয়। একই দিন ঢাকার আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে মারা যায় জঙ্গিদের প্রধান অর্থদাতা আবদুর রহমান ওরফে নাজমুল ওরফে সারওয়ার জাহান (৪০)। এভাবে বছরজুড়ে জঙ্গি সামলাতে তৎপর থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের উপকমিশনার মুহিবুল ইসলাম বলেন, বছরের মাঝামাঝিতে একাধিকবার জঙ্গিদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিটি ঘটনায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। জঙ্গি দমনে দেশের বিভিন্ন বাহিনীতে প্রশিক্ষিত জনবল রয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঠেকাতে আমরা তৎপর।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেড় শতাধিক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাবের হাতে আটক হয় ৬২ জঙ্গি। দেশব্যাপী বিভিন্ন সময়ে গোলাগুলিতে নিহত হয় ৪৩ জন। শুধু ডিবি, সোয়াট, সিটি ইউনিট ও থানা পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ৩৭ জন। আর র‌্যাবের ক্রসফায়ারে মারা যায় ৬ জঙ্গি। তবে র‌্যাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করে ৬ জঙ্গি। প্রত্যেক জঙ্গিকে ৫ লাখ করে টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।

গুলশান হামলা ও ‘নব্য জেএমবির’ উত্থান : ১ জুলাই সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান-২-এর ৭৯ নম্বর রোডের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও বেকারিটি দখলে নেয় জঙ্গিরা। পরদিন সকাল পর্যন্ত রেস্টুরেন্টটি তাদেরই দখলে থাকে ১৩ জন বিদেশিসহ প্রায় গোটা পঞ্চাশেক মানুষ। পবিত্র রমজান মাসের শেষ সপ্তাহ রক্তে রঞ্জিত হয় রেস্টুরেন্ট। ওইদিন ইতালি, জাপানি, ভারতীয় ১৭ জন নাগরিকসহ মোট ২০ জন মানুষ জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন।

জিম্মিদের উদ্ধার করতে গিয়ে প্রথম দিনই নিহত হন ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল করিম এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন খান। জঙ্গিদের ছোড়া বোমায় আহত হন র‌্যাব, ডিবি, সোয়াট ও থানা পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য। পরদিন সকালে জীবিত জিম্মিদের উদ্ধার করার জন্য ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো। ১১ ঘণ্টা জঙ্গিদের জিম্মায় থাকার পর মাত্র ১২-১৩ মিনিটে মুক্ত হন ১৩ জন জিম্মি। ৫ জঙ্গিসহ নিহত হয় ৬ জন।

কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহে জঙ্গি হামলা : গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের হামলার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের কাছে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম ও আনছারুল ইসলাম নামে দুই পুলিশ সদস্য, এক হামলাকারী ও এক নারী নিহত হন। হামলায় পুলিশের আরো ৬ সদস্য আহত হন।

ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও একটি চাপাতি উদ্ধার এবং আহত অবস্থায় দুই সন্ত্রাসীসহ তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর গ্রেফতার এক জঙ্গি পুলিশকে জানায়, তারা পাঁচজনের একটি দল ওই অপারেশন চালাতে কিশোরগঞ্জে যায়।

কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত ৯ : রাজধানীর কল্যাণপুরের ৫ নম্বর সড়কের গার্লস হাইস্কুলের পাশে তাজমঞ্জিল নামের ছয়তলা ‘জাহাজ বাড়ি’ ভবনের পাঁচতলায় আস্তানা গেড়েছিল জঙ্গিরা। সোয়াট বাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন স্টর্ম-২৬’ অভিযানে গোলাগুলিতে ৯ জঙ্গি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ সময় রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান নামে এক জঙ্গিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে জিহাদি বই, বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। জঙ্গি আস্তানার দেয়ালে আইএসের পতাকাও ঝোলানো ছিল। নিহত জঙ্গিরা ছিল ‘নব্য জেএমবির’ সক্রিয় সদস্য। ঘটনার পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক জানিয়েছিলেন, গুলশানে জঙ্গিদের যে গ্রুপটি হামলা চালিয়েছিল, কল্যাণপুরে নিহতরা সে গ্রুপেরই সদস্য।

গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম নিহত নারায়ণগঞ্জে : গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার বড় কবরস্থান এলাকার ‘দেওয়ান বাড়িতে’ সোয়াট, সিটি ইউনিট, র‌্যাব ও পুলিশের ‘অপারেশন হিট স্ট্রং-২৭’ নামে যৌথ অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ কানাডাপ্রবাসী তামিম চৌধুরীসহ তিনজন নিহত হন। হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর পুলিশের তদন্তে তামিমের নাম উঠে আসে। তামিমকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে পুলিশ সদর দফতর। তামিম আহমেদ চৌধুরীকে জঙ্গিদের নতুনধারায় তৎপরতার নেপথ্য ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছিল পুলিশ।

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ‘নিখোঁজ’ তরুণ-যুবকদের জড়িত থাকার যে তথ্য প্রকাশ করেছিল পুলিশ, তাতে এক নম্বরে নাম ছিল তামিমের। তাকে নব্য জেএমবির প্রধান ব্যক্তি হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক জঙ্গি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান পুলিশকে জানিয়েছিল, কল্যাণপুরে তাদের জঙ্গি আস্তানায় তামিম চৌধুরী, রিপন, খালিদ, মামুন, মানিক, জোনায়েদ খান, বাদল ও আজাদুল ওরফে কবিরাজ নামে ব্যক্তিরা নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তারা তাদের ধর্মীয় ও জিহাদি কথাবার্তা বলে উদ্বুদ্ধ করতেন। প্রয়োজনীয় টাকা-পয়সা দিয়ে যেতেন।

রূপনগর অভিযানে নিহত জঙ্গি প্রশিক্ষক ‘মেজর মুরাদ’ : গত ১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরের ৩৩ নম্বর সড়কের ৩৪ নম্বর বাড়িতে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার সামরিক প্রশিক্ষক মেজর মুরাদ ওরফে জাহাঙ্গীর ওরফে ওমর নিহত হয়। পাসপোর্টে তার নাম মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। তার বাবা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক।

নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় গত ২৭ আগস্ট অভিযানের ৫ দিন পর রূপনগরের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশ জানায়, মেজর মুরাদ ছিলেন নব্য জেএমবির মাস্টারমাইন্ড তামিম চৌধুরীর সেকেন্ড ইন কমান্ড। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে মুরাদ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে পুলিশের ওই তিন সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের ছোড়া পাল্টা গুলিতে মুরাদ নিহত হয়।

লালবাগে পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলা : গত ১০ সেপ্টেম্ব^র পুরান ঢাকার লালবাগে ২০৯/৫ ছয়তলা বাড়ির দোতলায় পুলিশের অভিযানের সময় হামলা চালায় জঙ্গিরা। অভিযানে খাদিজা, শায়লা ও শারমিন আক্তার নামে তিন নারী জঙ্গিকে আহতাবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ। আহত হন পুলিশের ৫ সদস্য। ঘটনাস্থলেই আত্মহত্যা করে তেহজীব করিম ওরফে আবদুল করিম নামে এক জঙ্গি।

তবে নিহত পুরুষ জঙ্গির আঙুলের ছাপ নিয়ে তা জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেছে, তার নাম শমসেদ। বাবার নাম মোসলেহ উদ্দীন। আটক নারী জঙ্গিদের মধ্যে জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল ইসলাম মারজানের স্ত্রী, নিহত পুরুষ জঙ্গির স্ত্রী এবং জঙ্গি নেতা রাহুলের স্ত্রী রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা তিন শিশুকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

একদিনে সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইল অভিযানে ১২ জঙ্গি নিহত : গত ৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পৃথক অভিযানে সাভার, গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতাসহ ১২ জঙ্গি নিহত হয়। গাজীপুরের হাড়িনাল পশ্চিমপাড়া লেবুবাগান ও নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় পৃথক দুটি জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাব, পুলিশ, সিটি ইউনিট ও সোয়াটের অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত হয়।

টাঙ্গাইলে র‌্যাবের সঙ্গে পৃথক অভিযানে ২ জঙ্গি নিহত হয়। সাভারের আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত আবদুর রহমান ওরফে নাজমুল ওরফে সারওয়ার জাহান (৪০) পড়ে মারা যায়। তিনি নব্য জেএমবির প্রধান অর্থদাতা বলে জানায় পুলিশ।

এ ঘটনার পর র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, নব্য জেএমবির প্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ ওরফে আবদুর রহমান ওরফে সারওয়ার জাহানের নেতৃত্বে ২৫টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের দেশি-বিদেশি বহু মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন সহস্রাধিক। গত ১ জুলাই গুলশান হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার পর র‌্যাবের অভিযানে ৬ জঙ্গি নিহত এবং ৩৩ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

৮ অক্টোবর গাজীপুর, টাঙ্গাইল ও ঢাকার বাইপাইল আশুলিয়ায় পৃথক পৃথক তিনটি জঙ্গি আস্তানায় র‌্যাবের সফল অভিযান পরিচালনায় চার জঙ্গি নিহত হয় এবং অপর এক জঙ্গি আবদুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত আবদুর রহমানই নব্য জেএমবির প্রধান সারোয়ার জাহান ওরফে শাইখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। তার বাসা থেকে জেএমবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়।

তবে আবদুর রহমান ওরফে সারোয়ার জাহানকে নব্য জেএমবির প্রধান হিসেবে মানতে অস্বীকার করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। এ নিয়ে পুলিশের শীর্ষ দুই কর্মকর্তার বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, যা এখনো শেষ হয়নি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!