• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসায় রোহিত


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ১৯, ২০১৮, ০৫:০২ পিএম
বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসায় রোহিত

ফাইল ছবি

ঢাকা: যদি এমন হতো যে, শেষ ওভারে মাত্র এক রান নিতে পারলেন দিনেশ কার্তিক। আর নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ৩ রানে হারল ভারত! তাহলে কি হতো? গোটা ভারত জুড়ে রোহিত, রায়না আর কার্তিকদের আগাম শ্রাদ্ধ সেরে ফেলা হতো। কারণ এখনও বাংলাদেশের কাছে হার মেনে নিতে পান ভারতীয় সমর্থকরা। কিন্তু শেষ অবধি তা হয়নি। শেষ বলে  ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের জয় কেড়ে নিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। এতে বড় বাঁচা বেচে গেছেন টিম ইন্ডিয়ার সদস্যরা।  

তবে শেষ দিকে বাংলাদেশের মুঠোয় থাকা এই জয় বের করে আনতে ঘাম ঝড়েছে রোহিত শর্মার দলের। কারণ শেষ দুই ওভারে, মানে ১২ বলে ৩৪ রানের দরকার হয় ভারতের। ১৯তম সেই ওভারে রুবেল হোসেনের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম বলেই ছক্কা মারলেন দিনেশ কার্তিক। পরের বলে চার, তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা! পরের দুই বল থেকে এল ২। কিন্তু শেষ বলে আবারও চার মেরে খেলাটাকে পুরোপুরি নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয় ভারত। শেষ ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বাংলাদেশের জয় কেড়ে নিয়েছেন দিনেশ কার্তিক।

এমন জয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কার্তিকের প্রশংসার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের প্রশংসা করেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‌‘ওরা (বাংলাদেশ) ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে, এটা সব সময়ই ভালো। অবশ্য এতে কখনো কখনো হিতে বিপরীত হয়, যখন সবকিছু আপনার পক্ষে থাকে না। কিন্তু এটাই ওদের ক্রিকেটের ধরন। তারা অবশ্যই দারুণ ভালো একটা দল। গত তিন বছরে আমার দেখেছি ওরা কতটা বদলে গেছে। ওদের বেশ কজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, যারা উঠতি ক্রিকেটারদের পথ দেখাচ্ছে।’

এদিন শেষ ওভারে সৌম্য সরকারকে দিয়ে জুয়া খেলতে চাইলেন সাকিব। প্রায় জিতে যাচ্ছিলেন সাকিব। শেষ বলে ভারতের দরকার ৫ রান। সৌম্য বল করলেন কিন্তু টাইগারদের স্বপ্ন ভেঙে জিতল ভারত। শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের এক ছক্কায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

সৌম্যের পাশেও দাঁড়ালেন রোহিত। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম সৌম্য ওদের আসল বোলার নয়। বেশির ভাগ সময় ওকে এক-আধবার ব্যবহার করা হয়েছে। আর শেষের ওভারগুলোতে বল করা কখনোই সহজ নয়। তখন সব সময় বোলারের ওপর চাপ থাকে, ব্যাটসম্যানের ওপর নয়।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!