• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দিশালায় নির্যাতনের শিকার বিচ্ছিন্ন শিশুরা


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুন ২৩, ২০১৮, ১২:৪৬ পিএম
বন্দিশালায় নির্যাতনের শিকার বিচ্ছিন্ন শিশুরা

ঢাকা : ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে আটকে পড়া পরিবারের বিচ্ছিন্ন শিশুরা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ভার্জিনিয়ার জুভেনাইল বন্দিশালায় অনেক শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে চেয়ারে বেঁধে ছোট ফোকর দিয়ে শ্বাস নিতে বাধ্য করা হয়। টেক্সাসের আরেক বন্দিশালায় শিশুদের মানসিক সক্ষমতা হ্রাস করে এমন ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিনের নামে। ভয়াবহ এসব তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন।

অনথিভুক্ত শিশুদের যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য সরকারগুলোর আওতায় বিভিন্ন বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবীরা সরাসরি অভিবাসনপ্রত্যাশী শিশুদের কল্যাণে কাজ করছে এবং এজন্য তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে- এমনটা বলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন থেকে। কিন্তু পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই শিশুদের আসলেই কতটা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে গেলে ভিন্ন চিত্র চলে আসে গণমাধ্যমের সামনে। ব্রাউনসভিল, টেক্সাসে অবস্থিত বন্দিশালাগুলো গত সপ্তাহে গণমাধ্যমের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখানো হয় কতটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ওই শিশুদের রাখা হয়েছে।

কিন্তু শিশুদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বাস্তবিক চিত্র ধরা পড়ে। সরকারি হিসাবের বাইরেও অনেক অনথিভুক্ত বন্দিশালায় রাখা হচ্ছে অনেক শিশুকে। সেখানে শিশুদের ওপর চলছে ভয়াবহ নির্যাতন। টেক্সাসের এই তীব্র গরমের মধ্যে জানালাহীন বন্দিশালার রুমগুলোতে ধারণক্ষমতার চেয়েও বেশি সংখ্যক শিশুকে রাখা হয়েছে। তারা চাইলেও স্বজনদের কাছে ফোন করতে পারছে না।

এ ছাড়া শিশুদের অচেতন করে রাখার জন্য দেওয়া হচ্ছে শক্তিশালী অ্যান্টিসাইকোটিক্স এবং ঘুমের ওষুধ। ফাঁস হওয়া নথি সূত্রে আরো জানা যায়, বন্দি শিশুদের মধ্যে যারা পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে তাদের পাঠানো হয় ভার্জিনিয়ার সেনানডোহ ভ্যালি জুভেনাইল সেন্টারে। বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের জন্য সবচেয়ে ভয়ানক বন্দিশালা এটা। যেসব শিশুকে ওই সেন্টারে পাঠানো হয় তাদের ফাইলে লেখা থাকে ‘ব্যবহারজনিত কারণে’ তাদের স্থানান্তর করা হয়েছে। কোনো আইনজীবী এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলে তাকে বলা হয়, ওই শিশুর মধ্যে আত্মঘাতী এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্তের প্রবণতা রয়েছে।  

সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিমালাবিরোধী আইনজীবী হলি কুপারের মতে, এর আগে কোনো দিন কোনো শিশুর ওপর এতটা নির্মমতা দেখিনি। কুপার নিয়মিত বন্দিশালাগুলোতে যান এবং কথাবার্তা বলেন।

তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ রাজ্যে প্রায় ১১ হাজার ৮০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী শিশুকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আইন অনুসারে আটককৃত শিশুদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নিয়ম থাকলেও তা করা হচ্ছে না। তবে নির্যাতন নিয়ে মুখ খোলেনি যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী পুনর্বাসন দফতর। দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, বন্দিশালাগুলো নথিভুক্ত দক্ষ পরিচালক এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে চালানো হচ্ছে। শিশুদের যখন যা দরকার হয় তাই দেওয়া হচ্ছে এবং এর আয়তন বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!