• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া


বরিশাল ব্যুরো মে ২১, ২০১৮, ০৭:১৮ পিএম
বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া

ফাইল ছবি

বরিশাল: তিনটি পন্যের দাম কমানোয় বরিশালে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র পণ্য বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ডিলাররাও পণ্য উত্তোলনে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। মসুর ডাল ও ছোলায় কেজি প্রতি ৫ টাকা ও খেজুরে দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমিয়ে বিক্রি করার কারণে ক্রেতারা দেদার কিনছে পণ্যগুলো। বরিশাল নগরীতে ৩৯ জনসহ বিভাগে মোট ১২৩ জন ডিলার এর অধিকাংশই পণ্য তুলছেন।

টিসিবি’র বরিশাল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে থেকে স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করার কথা তাদের। তবে বরিশালে ডিলারদের আগ্রহ না থাকায় দুইদিন বিলম্ব হয়েছিলো। এরপর তারা নোটিশ প্রদান করলে বেশ কয়েকজন ডিলার ভোজ্য তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা এবং খেজুর বিক্রি উত্তোলন শুরু করে। তবে বিক্রি শুরুর ১২ দিনের মাথায় এসে বৃহস্পতিবার (১৭ মে) মসুর ডাল, ছোলা ও খেজুরের দাম কমানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী মসুর ডালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা কমিয়ে ৫৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ছোলা পাঁচ টাকা কমিয়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা এবং খেজুর প্রতি কেজিতে ২০ টাকা কমিয়ে ১২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করা হয়েছে। তবে সয়াবিন তেল আগের মতোই ৮৫ টাকা লিটার এবং ৫৫ টাকা কেজিতে চিনির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। নতুন এ দামে ইতোমধ্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে ডিলাররা।

দাম কমানোর পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে পণ্যের পরিমাণ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন ক্রেতা পাঁচ কেজি চিনি, পাঁচ কেজি মসুর ডাল, পাঁচ লিটার সয়াবিন তেল, ১০ কেজি ছোলা এবং দুই কেজি খেজুর কিনতে পারবে। যেখানে আগে একজন ক্রেতা চার কেজি করে চিনি ও মসুর ডাল, পাঁচ লিটার সয়াবিন, পাঁচ কেজি ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারত। আর প্রতিদিন টিসিবি থেকে ছোলার ট্রাক প্রতি বরাদ্দ দেয়া হবে ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি। ডিলার প্রতি বরাদ্দ দেয়া হবে ৫০০ থেকে ৫০০০ কেজি।

নগরীর নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা সাদিয়া আফডিরন এসেছিলেন টিসিবির সয়াবিন তেল কিনতে। পাঁচ লিটার তেল ৪২৫ টাকায় পেয়ে তিনি সন্তুষ্ট। যা বাইরের দোকানে কিনতে ৪৮০ থেকে ৫২০ টাকা পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন, অনেক সময় মানুষের ভিড় থাকে বলে এখানে পণ্য কিনতে কষ্ট হয়। এরপরও কম দামে পাই, এটাই শান্তি। সয়াবিন তেল কিনতে এসে ৫ ধরণের পণ্য কিনলাম। কারণ প্রত্যেকটিতেই বাজারের তুলনায় দাম অনেক কম।

টিসিবি’র শামসুল হক নামের এক ডিলার বলেন, প্রথমে যে ৫টি পণ্য আমাদের বিক্রি করতে বলা হয়েছিলো তার মধ্যে মসুর ডাল, ছোলা বুট ও খেজুরের মূল্য বাজারের সঙ্গে সমান ছিলো। তাই ক্রেতাদের আগ্রহ ছিলো অনেক কম। কিন্তু দাম কমানোর কারনে এখন ক্রেতাদের বেশ সাড়া পড়েছে টিসিবির পণ্যে।

এ ব্যাপারে টিসিবির বরিশাল অফিস প্রধান মো. মাসুম হাওলাদার বলেন, মসুর ডাল, ছোলা বুট ও খেজুরের দাম কমানোর কারণে ডিলাররা এখন পণ্য উত্তোলনে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছে। সিংহভাগ ডিলার পণ্য তুলেছেন। এখনও ডিলারদের বেশ আগ্রহ রয়েছে পণ্য উত্তোলনে। তবে দাম কমানোর আগে পণ্য বিক্রিতে ডিলারদের আগ্রহ ছিলো না। এর কারণ ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে আগে কোনো আগ্রহ ছিলো না।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!