• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে নির্বাচন নিয়ে এলাকায় এলাকায় সংঘাত


বরিশাল ব্যুরো জুলাই ২২, ২০১৮, ০৯:২৫ পিএম
বরিশালে নির্বাচন নিয়ে এলাকায় এলাকায় সংঘাত

বরিশাল: বরিশাল সিটি নির্বাচনে এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ইতিমধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন হামলা ও সংঘর্ষে। রোববার (২২ জুলাই) সকালেও নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীর ৫ এজেন্টকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে আ.লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

এর আগে নগরীর ১২ নং ওয়ার্ডে অস্ত্র উচিয়ে হুমকি, হামলার ঘটনা এবং ১১ নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

বিএনপি ও জামায়াত দাবি করেছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে বাধা ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা দেয়া হচ্ছে। অবশ্য আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন এবং এলাকা কেন্দ্রীক।

রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় জামায়াতে ইসলামীর কাউন্সিলর প্রার্থী ও বর্তমান নির্বাচিত কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুমের প্রধান নির্বাচনী এজেন্টসহ ৪ সমর্থকের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুর রহমান ছাবিদ ও তার অনুসারীরা। এই ঘটনার পর থানা ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম।

ঘটনার পর দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দিন মাসুম দাবি করেন, রোববার (২২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট মো. আবদুর রউফ ও শাহে আলম নগরীর কালুশাহ সড়ক এলাকায় গেলে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠেলাগাড়ি প্রতিকের প্রার্থী তৌহিদুর রহমান ছাবিদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়।

খবর পেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী সালাউদ্দিন মাসুমসহ অপর এজেন্ট ও সমর্থক মিরাজুল ইসলাম, আবদুল মান্নান মিয়া, রুহুল আমিন, সাকলাইন মোস্তাক, এমরান সুমনসহ অন্যরা ঘটস্থলে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় তৌহিদুর রহমান ছাবিদ ও তার অনুসারী। একপর্যায়ে তাদের ৪জনকে আটক করে মারধর করে পুলিশের কাছে তুলে দেয় ছাবিদ। প্রচারণার ১২দিন অতিবাহিত হলেও প্রতিপক্ষ তাকে নির্বাচনী অফিস করতে দিচ্ছে না।

কাউন্সিলর প্রার্থী অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম বলেন, তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কোতয়ারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তবে আ.লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী তৌহিদুর রহমান ছাবিদ অভিযোগ করেন, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন মাসুম তার নির্বাচনী এলাকায় জামায়াত, শিবিরের বহিরাগতদের সমাগম ঘটিয়েছে। এজন্য তাদের পুলিশে দেয়া হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার (২০ জুলাই) ১২ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান স্বপন ইভিএম প্রশিক্ষণ চলাকালে হামলার অভিযোগ এনে কোতয়ালী মডেল থানায় বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী কে এম শহিদুল্লাহসহ ১০জনকে আসামি করে মামলায় দায়ের করেছেন।

এর আগে গত ১৫ জুলাই নগরীর ১১ নং ওয়ার্ডে আ.লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী মজিবর রহমান ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মারুফ আহম্মেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ৫জন আহত হয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীই স্টেডিয়াম বস্তিতে ভোটারদের মাঝে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেন।

এসব প্রসঙ্গে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার রোববার (২২ জুলাই) গণসংযোগকালে বলেন, হামলা, গ্রেপ্তার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করছে ক্ষমতাসীনরা। অথচ নির্বাচন কমিশন তাদের কথা রাখছেন না। নগর বিএনপিরসহ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন জানান, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এভাবে কাউন্সিলর প্রার্থীদের হামলা, মামলায় জর্জড়িত করায় ভোটের পরিবেশ থাকছে না।

এ প্রসঙ্গে আ.লীগের মেয়র প্রার্থীর মুখপাত্র নগর সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেন, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন। এর সঙ্গে আ.লীগের সম্পৃক্ততা নেই।

এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি নির্বাচনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, তারা সকল অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়াও শুরু হয়েছে। কয়েকজনকে জরিমানাও করেছেন বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!