বরিশালের ৭ রুটে ফের বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা

বরিশাল : প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ৫ ঘণ্টার চলার পর ফের বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল ঝালকাঠিসহ ৭ রুটের বাস চলাচল। রোববার বিভাগীয় কমিশানের সভা শেষে সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু চলাচল শুরুর ৫ ঘণ্টার মাথায় বেলা ১১টার দিকে বাস মালিকদের দ্বন্দ্বের কারণে ফের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বাস মালিকরা এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করে মন্তব্য করেছেন। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

জানা গেছে, পরিবহন চলাচলে বিভিন্ন রুটের হিস্যা নিয়ে গত ৩ জানুয়ারি বরিশাল থেকে ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনার ১০ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে টানা ১৯ দিন দুর্ভোগ সহ্য করে গন্তব্যে যেতেন যাত্রীরা। এ অবস্থায় গত রবিবার বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সমঝোতা সভায় ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অচলাবস্থা নিরসনের অনুরোধ জানান কর্মকর্তারা।

একই সঙ্গে বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতির বাস চলাচলের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে বিভাগীয় প্রশাসন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার সকাল ৬টা থেকে সকল রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু মাত্র ৫ ঘণ্টার মাথায় ফের একই দ্বন্দ্বের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বরিশাল মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সুলতান মাহমুদ বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সকাল থেকে পূর্বের নিয়মে বাস চলাচল হয়। কিন্তু সকাল ১১টার পর বরিশাল মালিক সমিতির বাস ওইসব রুটে যাওয়া মাত্রই ঝালকাঠী বাস মালিক সমিতি চলাচলে বাঁধা দেয় এবং শ্রমিকদের মারধর ও বাস ভাঙচুর করে।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠী জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, প্রশাসনের অনুরোধে ১০ রুটে ফের বাস চলাচল শুরুর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। ওই বৈঠকে তাদের দাবী ছিলো ঝালকাঠী রুটের বাস কুয়াকাটা রুটে চলতে দিতে হবে। প্রশাসনও ওই দাবি মেনে নিয়েছে। সে অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকে বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু বরিশাল বাস মালিক ঝালকাঠীর বাসগুলো কুয়াকাটা চলতে দিচ্ছে না। এ কারণে ঝালকাঠীর বিভিন্ন রুটে বরিশালের বাস চলাচলও তারা বন্ধ করে দিয়েছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর