• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানছেন লাম


ক্রীড়া ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭, ০৩:৫৪ পিএম
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানছেন লাম

ঢাকা: ১৯৯৫ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ফিলিপ লাম। প্রায় এক দশকে জার্মানীর হয়ে ১১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। এবার ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখের অধিনায়ক। চলতি মৌসুমের শেষে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষনা দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডার।

আগামী জুনেই ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে লামের । তবে তার আগে বায়ার্নের টানা পঞ্চম জার্মান লীগ শিরোপা সাক্ষ্মী হতে মুখিয়ে আছেন ৩৩ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা। তবে ক্যারিয়ারে বিশ্বকাপ শিরোপাকে এখনো সেরার আসনে আসীন করে রেখেছেন লাম। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল জার্মানী।

পুরো ক্যারিয়ারে অবশ্য লাম খুব একটা সহজ পথ পাড়ি দিতে পারেননি। প্রায় সময়ই তাকে ইনজুরির সাথে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়েছে। তবে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বায়ার্ন মিউনিখের সাথে সম্পর্ক অটুট রেখে শেষটাও এখান থেকেই করতে যাচ্ছেন। এই ক্লাবের হয়ে মঙ্গলবার তিনি ৫০১তম ম্যাচ খেলেছেন। মাঝে অবশ্য দুই মৌসুমের জন্য ধারে স্টুটগার্টে খেলেছেন। বায়ার্নের সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা লাম সম্পর্কে এক সময় বলেছিলেন, আমার দেখা মতে বিশ্বের অন্যতম চৌকষ ফুটবলার সে। মাঝে মাঝেই তাকে রাইট ব্যাক থেকে মধ্যমাঠে নিয়ে আসতে গার্দিওলা। সে কারনেই তার সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘লাম যেকোন জায়গায় খেলতে পারে। আমি যদি বলি তবে সে আমার দলের স্ট্রাইকার হতেও রাজী আছে।’

প্রায় এক দশক নিজেকে এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবেই পরিচিত করেছিলেন লাম। যদিও ৯০-২০০০ এর মধ্যে বায়ার্নের তারকা মিডফিল্ডার মেহমেত স্কলের কারনে তার জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। কিন্তু তখনই ক্লাব সিদ্ধান্ত নেয় লামের সেরা পজিশন হচ্ছে ডিফেন্স। যদিও ইতালিয়ান পাওলো মালদিনি তখন দারুন ফর্মে। তারপরেও লাম নিজেকে সেরা প্রমানে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। মাঠে তার ওপর পুরো দলের আস্থা আনতে সক্ষম হয়েছেন। আর সে কারনেই জার্মান গণমাধ্যমে তাকে ‘মি: ১০০ পারসেন্ট’ নামে আখ্যায়িত করতেও ভুল করেনি।

বিশেষ করে ২০১৪ সালের মাঠে হার্থা বার্লিনের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে লামের অসাধারণ নৈপুন্য এখনো কেউ ভুলেনি। এই জয়ের ফলে ২০১৩-১৪ মৌসুমে জার্মান লীগের শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়ে বায়ার্ন। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে মিডফিল্ডার হিসেবে লাম খেলা শুরু করেন। কিন্তু জার্মান কোচ জোয়াকিম লো দ্রুতই তাকে আবারো লেফট ব্যাক পজিশনে নিয়ে আসেন।

জার্মানীর হয়ে লাম পাঁচটি গোল করেছেন। কিন্তু ২০০৮ সালের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপে সেমিফাইনালে তুরষ্কের বিপক্ষে ৯০ মিনিটে তার দেয়া গোলে জার্মানদেও জয়টিকে এখনো সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবে ধরে রেখেছেন লাম।

বায়ার্নের হয়ে লাম সাতটি বুন্দেসলিগা শিরোপা, ৬টি জার্মান কাপ, তিনটি জার্মান সুপার কাপ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপীয়ান সুপার লিগ ও ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছেন। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে ডাচ মিডফিল্ডার মার্ক ভ্যান বোমেলের কাছ থেকে তিনি বায়ার্নের অধিনায়কত্ব লাভ করেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!