• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বহিষ্কারাদেশের পর বজলুর রশীদ বুলুর বিবৃতি


প্রবাস ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১০:৫৯ পিএম
বহিষ্কারাদেশের পর বজলুর রশীদ বুলুর বিবৃতি

ঢাকা: বহিষ্কারাদেশ জারি করার প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু। ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বহিষ্কারাদেশ জারি করায় এ বিবৃতি দেন বুলু।

লিখিত বিবৃতিতে বুলু বলেন- “বিগত ১২ ফেব্রুয়ারি আমি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর- রুনী হলে আমার এক লিখিত বক্তব্যে অতি শালীনতার  মাধ্যমে ‘ইউরোপেও সকল নেতা কর্মীগণকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র মেনে চলার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ’ এ মর্মে আহ্বান জানানোর পর তথাকথিত সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাকে বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে সর্ব সময়ের জন্য যে বহিষ্কারাদেশ জারি করেছেন। যার কোন ভিত্তি নাই। এমন খবর পরিবেশনের পর বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই”।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন- ‘পাশা পাশি সকলকে জানাতে চাই যে,  তিনি কখনো গঠনতন্ত্র পড়েছেন কি না তাতে আমার সন্দেহ। কারণ তিনি যদি পড়তেন এ ধরণের কাজ হয়ত বা করতেন না। সে জন্য তিনি আমার প্রতি যে ঊদ্বাত্তপূর্ণ আর অপমানসূলভ আচরণ করেছেন সে জন্য আমি অতি শীঘ্রই দেশে ফিরে আদালতের শরণাপন্ন হব’।

বজলুর রশীদ বলেন, তার আগে ইউরোপের রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আওয়ামী লীগ প্রধান, জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়ে গণি সাহেবের রাজনৈতিক স্বেচ্ছাচারিতার কথা অনেক নেতাদের সম্মুখে গণভবনে তুলে ধরি। আমি গণি সাহেবের কথায় কথায় নেতা কর্মীদেরকে বহিস্কারের কথা তুলে ধরলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শ্রদ্ধাভাজন নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেন, ‘যিনি কথায় কথায় নেতা কর্মীদেরকে বহিস্কার করবে বলে ধমক দেন, তুমি তাকে জানিয়ে দিও (১) কোন শাখা কমিটির নেতাদের কোন কর্মীকে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বহিস্কারের ক্ষমতা কারো নাই। (২) গঠনতন্ত্রের ৪৬ ধারা মোতাবেক কোন নেতা কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ব্যতিরেকে সরাসরি বহিষ্কার করা যার না। (৩) কথায় কথায় কোন নেতা তার কর্মীদেরকে বহিস্কারের ধমক দিলে সে নেতার বিরুদ্ধে অর্থ দন্ড ও মানহানির মামলা করা যাবে।

তিনি বলেন- সুতরাং একথাগুলো তাকে জানিয়ে দিও। আর তোমাকে বহিস্কারের ক্ষমতা বা এখতিয়ার তার নাই। তাই যাও তুমি তোমার কাজ কর। এ কথা শোনার পর আমি তা মিডিয়ার মাধ্যমে জনিয়ে দিব বলে ফিরে আসি। তার পর সাংবাদিক সম্মেলন করার পরও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যটি প্রেস রিলিজ বা আমার বক্তৃতাতে বিভিন্ন দিক ভেবে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করিনি। শুধুমাত্র ইউরোপের সকল নেতা কর্মীদেরকে সুষ্ঠভাবে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছিলাম যা প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে প্রকাশ করা হয়েছে।

এমন আহ্বান জানানোর পর গণি সাহেব আমার নামে আবারো অনেক মিথ্যাচার করে খবর প্রকাশ করেছেন। এমন শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ আমার রাজনৈতিক অর্জনকে কূলষিত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জার্মান সফরের পর আমি দেশে ফিরে গণির নামে আদালতে মামলা করে তার অনুলিপি জননেত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও দপ্তর সম্পাদক গোলাপ সাহেব বরাবর প্রেরণ করব।

বজলুর রশীদ বলেন- আগের কিছু কথা তুলে ধরছি, আমি বুলু ১/১১র পর যে ভূমিকা রেখেছি তা সকলেরই কমবেশি জানা। ঐ সময়ে গণি সাহেব ছিলেন সংস্কার পন্থিদের সাথে। দেশে আসলে মোর্শেদ খানের গলায় ঝুলে থাকেন। পাকিস্তানের ইমরান খানের সাথেও উনার বন্ধুত্ব এবং ফটো আছে।  

কিছু দিন আগে বঙ্গবন্ধুর ছবি কাট এন্ড পেস্ট করে অনলাইন পত্রিকাতে দিয়ে নিজেকে গত সেন্সুরির শ্রেষ্ঠ নেতা হিসাবে নিজেকে জাহির করতে চেয়েছেন তার প্রমাণও আছে আমার কাছে। এ ছাড়াও অনেক অশালীন কাজের প্রমাণসহ গোটা ইউরোপের শনি হলেন মি গণি। পুরা ইউরোপের প্রতিটি দেশে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে কারো সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা না করে যাকে যখন ইচ্ছা বহিষ্কার, গমন নির্গমন, ৫০০-৫০০০ ইউরো উতখুসের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হল উনার নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। এছাড়া উনার অপকর্মের লিস্ট অনেক লম্বা।

মিথ্যা আত্মীয় সাজার কারণে গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল কাদের সাহেবের কাছ থেকে অনেক নেতা কর্মীদের সম্মুখে পার্টি অফিসে অনেক কটু বাক্য শুনে বের হয়ে গিয়েছিলেন।

তাই ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগকে চাঁদা বাজির হাত থেকে রক্ষা করে ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগকে বাঁচানোর জন্য উনাকে দলথেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য আমরা ইউরোপ্রবাসীগণ জননেত্রীর কাছে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।

পাশা পাশি আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জার্মান সফরের সফলতা কামনা করে ইউরোপে বসবাসরত নেতা কর্মীদেরকে জার্মানির মিউনিকে উপস্থিত থাকার আহবান জানানো হচ্ছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!