• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁধ ভেঙে ফেনীতে ১০ গ্রাম প্লাবিত


মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, ফেনী জুলাই ২১, ২০১৭, ০১:০৩ পিএম
বাঁধ ভেঙে ফেনীতে ১০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী: গত দুই দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর ৩টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর, কিসমত ঘনিয়ামোডা ও দেড়পাড়া গ্রামের অংশে মুহুরী নদীর ৩টি স্থানে বাঁধ ভেঙে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

গ্রামগুলো হচ্ছে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, পুর্ব ঘনিয়ামোড়া, সাহাপাড়া, কিসমত ঘনিয়ামোড়া জয়পুর, দেড়পাডা, মালিপাথর, উত্তর নীলক্ষী ও দক্ষিণ নীলক্ষী। এদিকে ফুলগাজী বাজার রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে ডুবে গেছে বাজারের অধিকাংশ দোকান। এছাড়া মুহুরি নদীর উত্তর শ্রীপুর ও জয়পুর গ্রামের পশ্চিম অংশের বাঁধ যে কোন মূহুর্তে ভেঙে যাওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। দুই গ্রামের মানুষ রয়েছন বন্যা আতঙ্কে।

ফুলগাজী সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাত পৌনে এগারোটার সময়ে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ১নং ব্রীজের উত্তর পার্শ্বে মুহুরী নদীর বাঁধটি ভেঙে যায়। এর কিছুক্ষণ পর একই ইউনিয়নের কিসমত ঘনিয়ামোড়ার হাসেম মেম্ববারের বাড়ি সংলগ্ন মুহরী নদীর আরেকটি বাঁধ ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এবং শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে সদর ইউনিয়নের দেড়পাড়া গ্রামে নতুন করে আরও একটি মুহুরী নদীর বাঁধ ভাঙন সৃষ্টির ফলে ইউনিয়নের  ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ফুলগাজী সদর বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন জানান, রাতে ফুলগাজী বাজারে পানি উঠলেও ভোরবেলা তা নেমে যায়। এতে বাজারের অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বাজারের গার্ড ওয়াল নির্মাণের সময় যদি শ্রীপুর রোড অংশে একটু উঁচু করে দিতো তাহলে বাজারে পানি প্রবেশ বন্ধ হয়ে যেতো।

ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম জানান, বন্যায় প্লাবিত এলাকার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট দশ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ চেয়েছেন। প্লাবিত এলাকায় মানুষদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাত এগারোটায় ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়, এজিইডির ডিডি আবু দাউদ মো. গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবময় দেওয়ান, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিম ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কহিনুর আলম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত নয়টা থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বেঢ়িবাঁধের আশেপাশে অবস্থানকারী সকল জনগণকে সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন। এছাড়া বাঁধের যেকোন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করার জন্য ও অনুরোধ করেছেন তিনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!