• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৩ উপজেলার মানুষের


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭, ০১:১৪ পিএম
বাঁশের সাঁকোই ভরসা ৩ উপজেলার মানুষের

কুড়িগ্রাম: ঝুঁকির মধ্যে পরিবার-পরিজন ও মালপত্র নিয়ে একের পর এক বাঁশের সাঁকো পার হয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী-এই ৩ উপজেলার মানুষকে।

পানির তোড়ে বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙে ভেসে যাওয়ায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জেলা সদরসহ সারাদেশের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বন্ধ হয়ে আছে সোনাহাট স্থল বন্দরের কার্যক্রমও।

এবারের বন্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সড়কের উপর পানির স্রোতে বয়ে গেছে। এতে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ কুড়িগ্রাম-নাগেশ্বরী-ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ৮টি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দকের। সৃষ্টি হয়েছে খাল। এই খালে পানি জমে আছে এখনও।

ফলে এই সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার কোচ, বাস, মিনিবাস ও  ট্রাকসহ যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসীর অস্থায়ীভাবে নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে খালগুলো পারাপার হতে হচ্ছে। এর মধ্যে ঈদে ঘরমুখো এবং ঈদ শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষরা দুর্ভোগে পড়েছেন সবচেয়ে বেশি।

এ অবস্থায় অতি দ্রুত এই ৩ উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ পুনরায় চালুর দাবি জানালেন স্থানীয় মোটর মালিক সমিতির কর্মকর্তা। অবশ্য স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগের এই শীর্ষ কর্মকর্তা, ১৫দিনের মধ্যে মেরামত কাজ শেষ করে সড়ক যোগাযোগ পুন:স্থাপনের আশ্বাস দিলেন।

জেলায় এবারের বন্যায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৭টি পাকা সড়কের ২৬  কিলোমিটার এবং এলজিইডি’র ৭৭টি পাকা সড়কের ৬২ কিলোমিটার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২৭টি স্থানে প্রায় দেড় কিলোমিটার পানির তোড়ে ভেঙে ভেসে গেছে। ভেঙে গেছে ৩৭টি ব্রিজ ও কালভার্ট।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!