• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ এখন যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে সক্ষম


খুলনা প্রতিনিধি নভেম্বর ৮, ২০১৭, ০৩:০৩ পিএম
বাংলাদেশ এখন যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে সক্ষম

খুলনা: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে একটি কার্যকর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। 

ইতোমধ্যে নৌবহরে দুটি আধুনিক সাবমেরিন ও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধজাহাজ, এয়ারক্রাফট এবং আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর শক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একটি নব অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। একই সাথে বড় আকারের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এছাড়া চীনে আরো দুটি করভেট নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনায় নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরের নেভাল বার্থে যুদ্ধজাহাজ দুর্গম ও নিশান এবং সাবমেরিন টাগ পশুর ও হালদা’র আনুষ্ঠানিক কমিশনিং অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি খুলনায় নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরে পৌঁছালে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ এবং কমডোর কমান্ডিং খুলনার কমডোর সামসুল আলম তাকে অভ্যর্থনা জানান।

কমিশনিং অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ সদস্যদের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত চট্টগ্রাম ড্রাই ডকে ফ্রিগেট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে খুলনা শিপইয়ার্ডসহ অন্যান্য শিপইয়ার্ডে দেশীয় প্রযুক্তিতে জাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে এ খাতে স্বয়ংসম্পর্ণতা অর্জনের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় সম্ভব হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’ 

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে প্রথম ধাপ ছিল নৌবাহিনীর জন্য আকাশসীমা উন্মোচন। বর্তমান সরকারের আমলে দুটি হেলিকপ্টার ও দুটি মেরিটাইমন পেট্রোল এয়ারক্রাফট নিয়ে গঠিত হয় নেভাল এভিয়েশন। নেভাল এভিয়েশনে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অত্যাধুনিক সমর ক্ষমতাসম্পন্ন আরও দুটি হেলিকপ্টার এবং মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট শিগগির যুক্ত হবে। যা সমুদ্রসম্পদ এবং সমুদ্রসীমা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

চীন ও মালেশিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কারিগরিভাবে দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে এই দুই দেশ আমাদের নৌবাহিনীর নাবিকদের দক্ষ করে তুলেছে।’ যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে সক্ষম হওয়ায় তিনি খুলনা শিপইয়ার্ডকেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, সেনা ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!