• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন তুঙ্গে’


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ৩, ২০১৬, ০৬:৩২ পিএম
‘বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন তুঙ্গে’

বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ এবং ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক তুঙ্গে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। এই সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

সোমবার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে এফবিসিসিআই ও ইন্ডিয়া ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইইইএমএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ মন্তব্য করেন। 

আগামী ১৮ নভেম্বর ভারতের কলকাতার মিলান মেলা গার্ডেনে ইলেকট্রিক্যাল  ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রোড শো উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই ও ইন্ডিয়া ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (আইইইএমএ) অন্য প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাতলুব বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ন্যাচারাল গ্যাসের ওপর চাপ কমাচ্ছি। আমরা এখন বিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছি। এক্ষেত্রে ইলেকট্রনিক্স খাতের উদ্যোক্তাদের আরও বেশি এবং কোয়ালিটি সম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্ট তৈরি করতে হবে।

“বাংলাদেশে এখন অনেক ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিকাল প্রতিষ্ঠান ও ইকুইপমেন্ট তৈরি হচ্ছে। তবে কোয়ালিটি ও মানসম্পন্ন ইলেকট্রনিক্স ইকুইপমেন্ট তৈরি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে এখানকার উদ্যোক্তাদের কোয়ালিটির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা ভারতের সহয়তা নিতে পারি। ভারত এই সেক্টরে অনেক এগিয়ে গেছে।”

বর্তমান সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন অনেক বাড়িয়েছে উল্লেখ করে মাতলুব বলেন, দেশে এক সময় বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ৩ থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াট। এখন সেই উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তবে আমরা ব্যবহার করতে পারছি মাত্র ৮ হাজার মেগাওয়াট। ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাপাসিটির অভাবে আমরা বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে পারছি না।

মাতলুব বলেন, সরকার আমদানি নির্ভরতা কমাতে চাচ্ছে। সরকার চায় দেশে শিল্পপতি বাড়ুক। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক। দেশেই কোয়ালিটি সম্পন্ন পণ্য তৈরি হোক। কেননা, পণ্য আমদানিতে বেশি ডিউটি ফি (শুল্ক) দিতে হয়। অথচ দেশিয়ভাবে তৈরি পণ্যের ট্যাক্স কম।

ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রোড শোতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা সেখানকার পণ্য না কিনলেও এই রোড শোতে আমাদের অংশগ্রহণ করা উচিত। কেননা, সেখানে অনুষ্ঠিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করে আমরা জানতে পারবো- বিশ্ব কোথায় যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের বর্তমান অবস্থান কোথায় রয়েছে।

সভায় আইইএমএ ইনসুলেটর ডিভিশনের চেয়ারম্যান এ কে ঘোষ বলেন, কলকাতার মিলান মেলা গার্ডেনে পাওয়ার সেক্টরের যাবতীয় বিষয় নিয়ে এটি একটি বড় ধরনের আয়োজন। এখানে বাংলাদেশি পাওয়ার সেক্টরের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করতে পারবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!