• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ যুদ্ধের পক্ষে নয়: প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ০৯:২৪ এএম
বাংলাদেশ যুদ্ধের পক্ষে নয়: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: গত মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের আলোকেই চলমান রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ যুদ্ধের পক্ষে নয়। আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

সোমবার (১৬ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক’-এর (বিএবি) পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তরকালে তিনি এসব কথা বলেন। চেক গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী যে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, সেগুলো হলো:

এক. মিয়ানমারকে অবশ্যই বিনা শর্তে রাখাইন রাজ্যে দ্রুত ও চিরতরে সহিংসতা ও জাতিগত নিধন বন্ধ করতে হবে।

দুই. জাতিসংঘ মহাসচিবকে দ্রুত মিয়ানমারে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

তিন. ধর্ম ও জাতি নির্বিশেষে মিয়ানমারের সব নাগরিককে সুরক্ষা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের ভেতরে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলতে হবে।

চার. বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

পাঁচ. কফি আনান কমিশন রিপোর্টের সুপারিশ অবশ্যই বিনাশর্তে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার চার লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে বহন করছে। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘মানবিক বিপর্যয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেকের দায়িত্ব। রোহিঙ্গাদের বিপর্যয়ের সময় আমরা যদি তাদের পাশে না দাঁড়াতাম, তবে তা অমানবিক হতো।’

দুস্থ মানবতার সহায়তায় এগিয়ে আসায় বিএবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অ্যাসোসিয়েশন মানবকল্যাণে সবসময়ই তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তারা সম্প্রতি বন্যার সময়ও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। আজ তারা মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে।’

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানার শরণার্থী জীবনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৬ বছর শরণার্থী হিসেবে থাকার কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের দুঃখ-যন্ত্রণা বুঝি।’ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষ মানবতাবোধ-সম্পন্ন। তারা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে সহায়তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেসামরিক প্রশাসন, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবকরা এসব নিপীড়িত মানুষের ভোগান্তি লাঘবে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে তাদের জন্য বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!