• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ’


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২৮, ২০১৬, ১০:৫২ পিএম
‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ’

ঢাকা : রাষ্ট্রপতি আব্দুল হমিদ বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব এখানে উদযাপিত হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। বিভিন্ন ধর্মের লোক এখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রদায়িক ও আন্তরিকতার ঐতিহ্য বজায় রেখে এক সঙ্গে বসবাস করে একটি ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছে। 

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অশুভ শক্তির কবল থেকে জাতিকে মুক্ত রাখতে সব ধর্মের লোকদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ এবং অসহিঞ্চুতা পরিহার করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 
 
আবদুল হামিদ বলেন, সকল ধর্ম মানবতার বিজয়কে অশুভ শক্তির ওপরে ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন ধর্ম পালনের ক্ষেত্রে ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু সকল ধর্মের মূল মন্ত্র এক ও অভিন্ন। ফলে ধর্মের মধ্যে কোন বিরোধ বা বৈষম্য নেই। যারা ধর্মের এই নির্জলা সত্য বুঝতে পারেন না, তারাই সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এ জন্য তাদেরকে আবার মূল্যও দিতে হয়।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সকল প্রকার পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে সফলও হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার একটি সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা ও কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং দেশের জনগণ এর সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হবে।

তিনি বলেন, কৃষি, স্বাস্থ্য, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রুপান্তর করতে যে কোন মূল্যে অগ্রগতির এই ধারা ধরে রাখতে হবে। এ জন্য এখন আমাদের প্রয়োজন দেশপ্রেম, জাতীয় ঐক্য এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

তিনি আরো বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা এবং সক্রিয় সহযোগিতা থাকলে আমরা কাঙ্খিত অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হব।

ডিএন চ্যাটার্জির সভাপতিত্বে বিজয়া সম্মিলনীতে আরও বক্তব্য রাখেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ইসলামিক ফাইন্ডেশনের মহাপরিচালক শামিম মোহাম্মদ আফজাল, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ ধরুবেশানন্দ মহারাজ, নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফাদার বেনজামিন কোস্টা, কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমত বুদ্ধ প্রিয় মহাথেরো এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!