• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশকে পানি দিতে চান মমতা


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ৯, ২০১৭, ০৭:১১ পিএম
বাংলাদেশকে পানি দিতে চান মমতা

ঢাকা: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পানি দিতে চান বাংলাদেশকে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে খুব ভালোবাসি, অন্তর দিয়ে ভালোবাসি। আমরা চাই, বাংলাদেশও জল পাক।’

নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের এমন কথাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি তিনি শেখ হাসিনাকে ‘বুঝিয়ে বলেছেন’ বলেও উল্লেখ করেন।

তবে সেই সঙ্গে একথাও জুড়ে দিয়েছেন, ‘তিস্তায় যদি নাও দিতে পারি, তাহলে ভাবার কিছু নাই। তিস্তায় ‘জল নেই’ দাবি করে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশের তিন চারটি ছোট নদীর পানিবণ্টনের বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নয়া দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে সাংবদিকরা ঘিরে ধরে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিকল্প প্রস্তাব ভেবে দেখতে বলেছি সবাইকে। দুই সরকারকে। এটা আমি লাঞ্চেও বলেছি।’

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী খানিকটা খোলাসা করে বলেন, ‘আমাদের কিছু ছোট ছোট নদী আছে। যেগুলো দিয়ে বাংলাদেশে একটা কানেকশনও আছে। জীবনে কখনো এসব নদী সংস্কার কিংবা নার্চার হয়নি। এসব নদী নিয়ে দুদেশ স্টাডি করলে হয়তো ভায়াবিলিটি দেখতে দেয়া যেতে পারে। তাহলে কিছুটা শেয়ার করা যেতে পারে।’

মমতা সোজাসুজি বলে দিয়েছেন, বাংলাদেশ পানি পাক, তা তিনিও চান। কিন্তু তিস্তা থেকে দেয়ার তার কোনো উপায় নেই। তিনি আরো বলেছেন, তিস্তায় যখন প্রব্লেম হচ্ছে, আর তিস্তাতে যেহেতু কাজলডোবা ব্যারেজ আছে, পানির প্রব্লেম আছে, ড্রিংকিং ওয়াটার, ফারমার্স, নানান প্রব্লেম আছে; এই হিসেবে তিন-চারটি নদী নিয়ে ভাবা যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘তোর্সা, মানসাই, ধানসাই ও ধলোরার মত কয়েকটি ছোট নদী আছে, যেগুলো বাংলাদেশে গিয়ে মিশেছে। যৌথ সমীক্ষা করে এসব নদী থেকে বাংলাদেশকে যদি পানি দেয়ার সুযোগ থাকে, তাহলে তাতে রাজি থাকবেন।’

ছয় বছর আগে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে তা আটকে যায়। এরপর বিভিন্ন সময় ভারত সরকার এই চুক্তি সইয়ের বিষয়ে আশ্বাস দিলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

শনিবার (৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। তবে সেখানে তিস্তার বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। এর বদলে তিস্তার জট খোলার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সোনালীনিউজ/এন

Wordbridge School
Link copied!