• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না’


নিউজ ডেস্ক অক্টোবর ১৭, ২০১৮, ১০:৩৪ পিএম
‘বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি কেউ থামাতে পারবে না’

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা।     

বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব জায়গায় এবং নিজস্ব অর্থে নবনির্মিত চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে প্রদত্ত ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে উন্নয়নের যে কাজটা করার দরকার ছিল আমরা তা করেছি এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে যাত্রা শুরু করেছে এবং এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবেনা বলে আমি বিশ্বাস করি এবং এই দায়িত্বটা আপনাদের সকলেরও থাকলো।’  

শেখ হাসিনা বলেন, সামনে নির্বাচন এবং জনগণ ভোট দিলে তিনি আবার সরকারে আসবেন, নচেৎ নাই এবং বাংলাদেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারায় সেজন্য তার কোন আফসোস থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর শতবর্ষী মেয়াদি ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ এই দেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কিভাবে চলবে সেই পরিকল্পনাটাও ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’র মাধ্যমে আমরা করে দিয়ে গেলাম, যাতে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে চলতে পারে। এক্ষেত্রে দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসি বাংলাদেশীদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দেশের বিমানবহরে আধুনিক নতুন বিমান সংযুক্ত করার প্রসঙ্গ তুলে বলেন এখন নিজস্ব বিমানেই তাঁরা দেশে যাতায়াত করতে পারবেন।

শেখ হাসিনা তার বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতার কথা স্মরণ করে বলেন, তিনি যে আমাদের স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন তাই নয়, বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন দেশে আমাদের নিজেদের জায়গায় নিজস্ব দূতাবাস হবে সে প্রক্রিয়াটিও শুরু করে যান।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, আমাদের নিজস্ব দূতাবাস ভবনটি আজকে উদ্বোধনের সময় আমার বারবারই মনে পড়ছিল আজ যদি জাতির পিতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বহু আগেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হত।

তিনি বলেন, ’৯৬ সালে সরকার গঠনের পরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস স্থাপনে তাঁর সরকার কাজ শুরু করে এবং ওয়াশিংটন ও দিল্লীতে ভবন স্থাপন করলেও অষ্ট্রেলিয়া সহ অন্যান্য দেশে এই কাজ পরবর্তী বিএনপি-জামাত সরকার বন্ধ করে দেয়।।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় হজ যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যাবার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে হাজীদের সুবিধার্থে তাঁর সরকার গৃহিত পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সরকার হজ অফিস মক্কাতে নিয়ে গিয়েছে এবং হজ মওসুমে হাজীদের সুবিধার্থে মক্কা এবং মদীনাতেও নিজস্ব জায়গায় অফিস তৈরীর উদ্যোগ নেবে তাঁর সরকার। এ ব্যাপারে জমি অথবা অফিসের জন্য ফ্লোর ক্রয় করার জন্যও সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় তিনি হজকার্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সৌদি বাদশাহ এবং তাঁর সরকারকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

তিনি সৌদিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সমস্যা সমাধানে মনযোগী হবার আহবান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই চ্যান্সেরি ভবনটা যখন তৈরী করা হয় তখনই আমার নির্দেশনা ছিল এখানে যারা সেবা নিতে আসবেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে বন্দোবস্ত রাখার।’

দেশের ডিজিটালাইজেশনের সুফল এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের মত প্রবাসীরাও পাচ্ছে, বলেন তিনি। এ সময় তিনি ভবন ব্যবহারকারীদের যত্নবান হবার আহবান জানিয়ে বলেন, তাঁর আজ সৌদি বাদশাহের সঙ্গে আলোচনায় ভাল অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বাদশাহকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে বাদশাহ তাতে সানন্দে সম্মতি প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কেএসএ গোলাম মসীহ বক্তৃতা করেন। প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ সেবা প্রত্যাশীদের জন্য ৫১০ বর্গমিটারের একটি শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!