• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের পতাকা হাতে গণবাহিনীর কুচকাওয়াজ


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৩, ২০১৭, ০৯:৩১ এএম
বাংলাদেশের পতাকা হাতে গণবাহিনীর কুচকাওয়াজ

ঢাকা : আজ ২৩ মার্চ, পাকিস্তান দিবস। কিন্তু ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রেসিডেন্ট ভবন, ক্যান্টনমেন্ট ও তেজগাঁও বিমানবন্দর বাদে কোথাও ওড়েনি পাকিস্তানের পতাকা। স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে আজকের দিনে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলাদেশ প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। সেজন্য সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে উড়ানো হয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রস্তাবিত পতাকা।

টেলিভিশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পাকিস্তানি সৈন্যরা দুর্ব্যবহার করলে সম্প্রচার বন্ধ থাকে। ফলে আজকের দিনে কোনো জাতীয় সঙ্গীতই পরিবেশিত হয়নি। ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন ও সোভিয়েট কন্স্যুলেটে বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন ছিল। চীন, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও নেপালের দূতাবাসগুলোতে প্রথমে পাকিস্তানি পতাকা তোলা হলেও পরে জনতার রোষে তা নামিয়ে বংলাদেশের পতাকা তোলা হয়।

সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পল্টন ময়দানে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের গণবাহিনীর কুচকাওয়াজ শুরু হয়। ১০ প্লাটুন গণবাহিনীর পদভারে কম্পিত হয় ঢাকা। সম্মিলিত গণবাহিনী ঢাকার রাজপথ ধরে নয়নাভিরাম কুচকাওয়াজ করে গার্ড অব অনার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ভবনে যায়। এর আগে পল্টন ময়দানে তাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন ছাত্রনেতা নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আ স ম আব্দুর রব ও আব্দুল কুদ্দুস মাখন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান জাতীয় পতাকা নিয়ে গণবাহিনীর সালাম নেন। সে সময় রেকর্ডে ‘আমার সোনার বাংলা’ জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে শোনানো হয়। গণবাহিনীর উদ্দেশে এক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বাংলার মানুষ আর করুণার পাত্র নন। আপন শক্তির দুর্জয় ক্ষমতাবলেই আপনারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনবেন।’

বিকেলে পল্টন ময়দানে ন্যাপ (ভাসানী) পূর্ব বাংলা দিবস পালন করে। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে মশিউর রহমান যাদু মিয়া বলেন, ন্যাপ স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসনামা-সমঝোতায় বিশ্বাস করে না।

বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে পল্টন, বায়তুল মোকাররম, শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সারা দিন ধরে চলে মিছিল-মিটিং। চট্টগ্রামেও বিরাজ করে একই চিত্র।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!