• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত স্বাধীন সিন্ধুদেশ আন্দোলন


নিউজ ডেস্ক মার্চ ২৬, ২০১৮, ০৮:৩৯ পিএম
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত স্বাধীন সিন্ধুদেশ আন্দোলন

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অনুপ্রাণিত হয় সিন্ধুদেশ আন্দোলন। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের নেতারাও জোরালো দাবি তোলেন স্বাধীনতার। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে স্বাধীন রাষ্ট্র হয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সিন্ধি নেতা জিএম সাঈদ স্থানীয় কয়েকটি সিন্ধি রাজনৈতিক পার্টিকে একত্রিত করে নতুন করে সিন্ধু অঞ্চলের নাম ‘সিন্ধুদেশ’ প্রস্তাব করেন। এ দাবি সে সময় সিন্ধু ভাষাভাষী মানুষের মধ্যে আলোড়ন তোলে।

এর আগে ১৯৬৭ সালে পীর আলি মোহাম্মদ রাশদি এবং জিএম সাঈদ রাষ্ট্রভাষা উর্দুর বিরুদ্ধে একটি সাহিত্য আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। সিন্ধু প্রদেশে ভারত থেকে আগত মুসলিম শরণার্থী (মুহাজির) এবং পাঞ্জাবিদের আধিপত্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন ওই আন্দোলনের নেতারা। তৎকালীন সিন্ধুতে তখন ‘না খাপি, না খাপি, পাকিস্তান না খাপি (পাকিস্তানকে না)’ স্লোগানটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। এমনকি ভারতে বসবাসরত সিন্ধি ভাষাভাষীদের মধ্যেও আন্দোলনটি ছড়িয়ে পড়লে পাকিস্তানের রাজনীতিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টি। 

সে সময় পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত নির্যাতন ঠেকাতে সিন্ধুদেশ লিবারেশন আর্মি গঠন করা হয়। বর্তমানে ওই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে দেশটিতে। ক্রমশ দেশটির সামরিক প্রশাসন ও জাতীয়তাবাদী দলগুলোর আধিপত্যবাদী আচরণে সিন্ধুদেশ আন্দোলন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে এবং দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে আন্দোলন। 

সিন্ধুদেশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা জিএম সাঈদের মৃত্যুর পর সিন্ধুদেশপন্থি সংগঠন জয় সিন্ধ কওমি মাহাজ (জেএসকিউএম) প্রতিষ্ঠিত হলে ছোট ছোট অনেকগুলো সংগঠন একটি পার্টির আওতায় আসে এবং নতুন করে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৯৫ সালে এ নেতা মৃত্যুবরণ করেন।

২০০০ সাল নাগাদ জেএসকিউএম ভেঙে তৈরি হয় জয় সিন্ধ মুত্তাহিদা মাহাজ (জেএসএমএম) নামের আরেকটি ফ্রন্ট। সর্বশেষ ২০১২ সালে পাকিস্তানের করাচিতে কয়েক হাজার সিন্ধি নেতা সিন্ধুদেশের নামে স্লোগান দেয় এবং পাকিস্তানের সংবিধান বয়কটের আহ্বান জানান। এ সময় জেএসকিউএম নেতা বশির খান কুরায়েশি স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা চান এবং উর্দু ভাষা সিন্ধুদেশের মানুষের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরি করছে বলেও জানান। তবে ওই বছরই মাত্র ৫৪ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে সিন্ধুর সাকরান্দ এলাকায় মারা যান তিনি। এতকিছুর মধ্যেও এখনো ধীরগতিতে হলেও চলছে স্বাধীন সিন্ধুদেশের দাবিতে আন্দোলন।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!