• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ২, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি

ঢাকা : বাঙালির জন্মজরুল ডিসেম্বর আজ থেকে শুরু হচ্ছে। স্বাধীকারের চুড়ান্ত পরিনতি ঘটে মাসে। ছেচল্লিশ বছর আগে ১৯৭১ সালের  এ মাসেই হার্মাদ পাকিস্তানীদের সঙ্গে দীর্ঘ সংগ্রামের পর এ নদী রক্ত পেরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। জাতি যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বিজয়ের মাস উদযাপনের লক্ষ্যে মাসব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ এবং ত্রিশ লাখ শহীদের জীবনোৎসর্গ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ শুরু করে তার পথচলা। বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক রাজনৈতিক স্বপ্ন সাধ পূরণ হয় এ মাসে।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখন্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। ভাষার ভিত্তিতে যে জাতীয়তাবাদ গড়ে উঠেছিল, নয় মাসব্যাপি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ঘোষিত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এ দিনে।

বাঙালির হাজার বছরের স্বপ্নপূরণ হবার পাশাপাশি বহু তরতাজা প্রাণ বিসর্জন আর মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এই অর্জন হওয়ায় বেদনাবিঁধূর এক শোকগাঁথার মাসও এই ডিসেম্বর। এ মাসেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল শামসদের সহযোগিতায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান-বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোন নজীর বিশ্বে নেই।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল আর আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম,’ বলে স্বাধীনতার ডাক দেন, সেখানেই পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করে পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Wordbridge School
Link copied!