• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলালিংকের বিরুদ্ধে নালিশ দিলেন যুগ্ম-সচিব


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ৭, ২০১৭, ০৮:৪৯ পিএম
বাংলালিংকের বিরুদ্ধে নালিশ দিলেন যুগ্ম-সচিব

ঢাকা: অনুমতি ছাড়া স্বয়ংক্রিয়ভাবে গোপনে টাকা কেটে নেয়ার কথা জানিয়ে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকের বিরুদ্ধে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছেন সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এবং এসংক্রান্ত শুনানিতে তাকে রাখার জন্যও অনুরোধ করেছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

আইনের যে ধারায় এই অভিযোগ করা হয়েছে তাতে অনধিক তিন কোটি টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-সচিব মাহবুব কবীর এই অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

লিখিত অভিযোগে মাহবুব কবীর বলেন, বাংলালিংক আমাকে কোন প্রকার লিখিত, কারিগরি বা ডিজিটাল অনুমতি কিংবা আমার অ্যাক্টিভেশন ছাড়াই বিভিন্ন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করে অনেক টাকা কেটে নিয়েছে। যেমন গত ৬ মাসে কয়েকটি সার্ভিসের নামে প্রায় ৩৬০ টাকার বেশি কাটা হয়েছে। আরও অনেক অজানা সার্ভিস আছে যা আমি তাদের কাস্টমার কেয়ার থেকে জানতে পেরেছি, সে বাবদ বিভিন্ন অংকের টাকা কাটা হচ্ছে যা আমি অনুমতি দেইনি বা অ্যাক্টিভেশন করিনি।

বাংলালিংক অপারেটর বিভিন্ন নামে এবং কোডে (ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস) প্রতিদিন একাধিক ম্যাসেজ পাঠায়। যেখানে চার্জ বাবদ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ম্যাসেজের নিচে একটি নাম্বার দিয়ে বলে, এই সার্ভিস না চাইলে ডিঅ্যাক্টিভেট করুন। প্রতিদিন মোবাইলে আসা অসংখ্য ম্যাসেজের ভিড়ে এসব নামে বা কোডে আসা ম্যাসেজ পড়া বা দেখা কারও পক্ষে সম্ভব নয়। ফলে তারা গ্রাহকদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা অত্যন্ত অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে কেটে নিচ্ছে।

তিনি যুক্তি হিসেবে বলেছেন, কোনো গ্রাহকের সম্মতি ব্যতিরেকে তাকে কোনো সার্ভিস দেয়া ও সেই বাবদ অর্থ কেটে নেয়া অন্যায়।

মাহবুব কবীর উল্লেখ করেন, বিভিন্ন নাম এবং সার্ভিস প্রথম  চালু করার সময় যেহেতু আমার অনুমতি নেয়া হয়নি বা সার্ভিস চালুর বিষয়ে ফ্লাক্সিলোড বা ইন্টারনেট ডাটা কেনার সময় কোন প্রকার ম্যাসেজ, বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ দেয়া হয়নি বা আমি কোন সার্ভিস অ্যাক্টিভেট করিনি, সেহেতু বাংলালিংক অপারেটর আমার বিনা অনুমতিতে বা অজ্ঞাতসারে বিভিন্ন সার্ভিস চালু করে অনেক  টাকা অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে কেটে নিয়ে আমার আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি করেছে। গুড বিজনেস প্র্যাক্টিসের মুখে কালিমা লেপন করেছে, আমার বা আমাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। ডিরেক্টিভস অন সার্ভিস অ্যান্ড ট্যারিফ (২০১৫) এর  ১০(এ) ধারা মতে, কোনো ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করা যাবে না। 

এই ধারা অনুযায়ী, বাংলালিংক তা সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন করেছে। টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ (সংশোধনী ২০১০ সনের ৪১ নং আইন) এর ৫০ (৩) ধারা অনুযায়ী বাংলালিংক অপারেটরের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয় এই আবেদনে।

বিটিআরসিতে দেয়া অভিযোগের উপর শুনানিতে বাংলালিংক কর্তৃপক্ষকেও ডাকা হবে বলে জানা গিয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!