খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমে নবগঠিত কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে তালিকা করার অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রকাশ করেছে খাগড়াছড়ি সদর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অনাস্থ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানছড়ি উপজেলা কমান্ডার মনিরুজ্জামান, সাবেক জেলা কমান্ডার মফিজুর রহমান ও মো. হানিফ।
সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে নব গঠিত কমিটির সভাপতিসহ অধিকাংশ সদস্য বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা অর্থের বিনিময়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে অমুক্তিযোদ্ধাদেরকে নতুন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
সদর উপজেলা কমান্ডার মো. আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য মো. আলী আশ্রাফ, আবুল হাশেম ও আলী আশ্রাফের ছেলে মো. হারুন এক কোটি ত্রিশ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে অ-মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভারতীয় তালিকায় নাম আছে, লাল মুক্তিবার্তায় তালিকাভুক্ত,ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরও অভিযুক্ত বলে চিঠি দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সদর উপজেলার ৪৮ জনের মধ্যে ২৩ জনকে এভাবে নতুন করে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে আলী আশ্রাফের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও অপর অভিযুক্ত আবুল হাশেম উত্থাপিত অভিযোগগুলো অস্বীকার করে জানান, কার অধীনে, কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন বলতে পারে না, তারা মুক্তিযোদ্ধা হয় কিভাবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :