• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাজপেয়ীর মৃত্যুতে ভারতে ৭ দিনের শোক


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৭, ২০১৮, ০২:৩৫ পিএম
বাজপেয়ীর মৃত্যুতে ভারতে ৭ দিনের শোক

ঢাকা : ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মৃত্যুতে ভারতজুড়ে সাতদিন জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এদিকে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) বিকেল ৪টায় দিল্লির জাতীয় স্মৃতিস্তম্ভে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (এইমস) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বর্তমানে বাজপেয়ীর মরদেহ তার নিজ বাসা ৬-এ কৃষ্ণ মেনন মার্গে রয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মরদেহটি বিজেপি সদরফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে বিজেপির নেতারা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়াও বৃহস্পতিবার বাজপেয়ীকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ তার দলের শীর্ষ নেতারা।

গত ১১ জুলাই থেকে কিডনি সংক্রমণ নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভারতের তিনবারের এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (১৫ আগস্ট) রাত থেকে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

এদিকে, বাজপেয়ীর শেষকৃত্যতে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি যাচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

৯৩ বছর বয়সী এই প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ তার শক্তিশালী বাগ্মিতা ও কবিতার জন্য পরিচিত ছিলেন। ভারতের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বাজপেয়ী ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসেন। তবে, সে সময় মাত্র ১৩ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রিত্ব পেয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে এক বছরের কিছু বেশি সময়ের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৯ সালের নির্বাচনে ফের বিজয়ী হয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৫ সালে রাজনীতি থেকে অবসরে যান বাজপেয়ী। ২০০৯ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর থেকে শারীরিকভাবে আরো দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হন।

চলতি বছরের জুনে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে কিডনি জটিলতা, মুত্রথলির সংক্রমণ এবং বুকে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন বাজপেয়ী।

১৯২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর গোয়ালীয়রে জন্ম নেয়া বাজপেয়ী ১৯৩৯ সালে রাষ্ট্রীয় সমাজসেবক সংঘে যোগদান করেন। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠানটির রাজনৈক সংগঠন ভারতীয় জনসংঘের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হন তিনি। ১৯৬৮ সালে বাজপেয়ী এই দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে ভারতে জরুরি অবস্থা চলাকালীন দলের অন্য নেতাদের সঙ্গে কারাবন্দী হয়েছিলেন বাজপেয়ী নিজেও। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের আগে নাম পরিবর্তন করে ‘জনতা পার্টি’ নামে নতুন এক জোট তৈরি করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। নির্বাচনে জিতে মোরারজী দেশাইয়ের সরকারে সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন বাজপেয়ী।

জনতা পার্টির পতনের পর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী এল কে আদভানির সঙ্গে ১৯৮০ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি- বিজেপি গঠন করেন বাজপেয়ী।  

২০১৫ সালে বাজপেয়ীকে ভারতের শীর্ষ বেসামরিক সম্মাননা ভারত রত্নে ভূষিত করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!