• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান ব্যবসায়ীদের


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৩, ২০১৭, ০৯:৪১ পিএম
বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান ব্যবসায়ীদের

ঢাকা: আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বাজেট বাস্তবায়নে অর্থায়ন ও অর্থ ব্যয় সঠিকভাবে করতে না পারায় প্রতিবছরই বাজেট সংশোধন করতে হয়। তাই বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই সুষ্ঠু তদারক করা জরুরি। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এই বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে। 

শনিবার (৩ জুন) বিকেলে সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে এফবিসিসিআই। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ১ লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কোটি টাকার ঘাটতি আছে, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে। অভ্যন্তরীণ ঋণ-ব্যবস্থা থেকে ৬০ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা নেয়ার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীল উৎপাদনশীল খাতে ঋণের প্রবাহ কমিয়ে দিতে পারে।

ব্যাংকে আমারতের ওপর আবগারি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এফবিসিসিআই। এ বিষয়ে সভাপতি বলেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কারণে আমানতকারী ব্যাংকে আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হবেন। এ ছাড়া অর্থ ব্যাংক চ্যানেলে না গিয়ে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এ অর্জন করা চ্যালেঞ্জ মনে করে এফবিসিসিআই। তাদের বক্তব্য, রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে নিম্নমুখী প্রবণতা আছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি ফসল উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় রাজস্ব আদায়ের এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অর্জনযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তদারকি ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। 

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তথা সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য ব্যাংক লেনদেন করে থাকে মানুষ। বাজেটে ব্যাংকে অর্থ জমা রাখার ক্ষেত্রে আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এতে আমনতকারী আমানত রাখতে নিরুৎসাহিত হবে। এছাড়া অর্থ ব্যাংক চ্যানেলে না যেয়ে ইনফরমাল চ্যানেলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য শুভ নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম ও মুনতাকিম আশরাফ, ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আবুল কাসেম খান, বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই প্রথম সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি মুনতাকিম আশরাফসহ পরিচালকরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!