• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাণিজ্য বাড়াতে নৌ-ট্রানজিট নিচ্ছে ভুটান


নিউজ ডেস্ক এপ্রিল ১৮, ২০১৭, ১০:৫৬ পিএম
বাণিজ্য বাড়াতে নৌ-ট্রানজিট নিচ্ছে ভুটান

ঢাকা: তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানি গিয়েছেন প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) থিম্পুতে গিয়েই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

শীর্ষ বৈঠকের পর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বাংলাদেশের নৌপথ ভুটানকে ব্যবহার করতে দেয়া, কৃষি, সংস্কৃতি ও পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছে প্রতিবেশী দুই দেশ।

সকালে শেখ হাসিনা ভুটান পৌঁছলে পারো বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী তোবগে। এরপর জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানী থিম্ফুতে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরের পর শেখ হাসিনাকে ভুটানের রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিল ও রানি জেটসান পেমার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।

থিম্ফুর গ্যালয়ং শংখান-এ শীর্ষ বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনার মধ্যে যেগুলো প্রমিনেন্টলি এসেছে সেগুলো হল দুদেশের কানেকটিভিকে ধরে ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি। এই এমওইউ সইয়ের ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা হল। বিশেষ করে দ্বৈত করের ক্ষেত্রে। এতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এসময় উপস্থিত ছিলেন। একাত্তরে বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদাতা দেশ হিসেবে ভুটানের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের কথা বলেন পররাষ্ট্র সচিব। সেই সম্পর্ককে ধরে রাখার জন্য ভুটানের রাজা বাংলাদেশকে একটা জমি দিচ্ছেন যেখানে বাংলাদেশের দূতাবাস গড়ে তোলা হবে। সে বিষয়ে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে শহীদুল হক জানান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ওদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, হাইড্রো বিদ্যুতের যে সম্ভাবনা আছে, সেটা একটা গেইম চেঞ্জার হতে পারে এই অঞ্চলে। ভুটানে তিন দেশের সহযোগিতায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং এটা রিজওনালি ট্রান্সমিট করবে।

তিনি জানান, ভুটানের সরকার একটা ‘হেলথ ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য। এই তহবিলে সহযোগিতা চেয়েছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরও একটা জিনিস অনেকদিন ধরে আলোচনায় ছিল যে, বাংলাদেশি ডাক্তারদের এখানে সরকারিভাবে চাকরির ব্যাপারটা।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত শহীদুল হক ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলেন, বিদেশি ডাক্তারদের এখানে চাকরি করলে মাসে তিন হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন হবে। বাংলাদেশি ডাক্তাররা উৎসাহী হলে তাদের চাকরির সম্ভাবনা এখানে আছে।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল নিয়ে বিবিআইএন নামে যে উপ-আঞ্চলিক জোট গঠনের কাজ চলছে তা নিয়েও দুই প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করেছেন বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব। দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো
“আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিবিআইএন এ এলাকার কানেকটিভির একটা প্রধান করিডর। এর বাস্তবায়নে ভুটানকে তিনি তাগাদা দিয়েছেন।”

শহীদুল হক বলেন, কুয়াকাটা ও কক্সবাজারের সঙ্গে ভুটানকে নিয়ে একটি ‘টুরিজম করিডোর’ কীভাবে তৈরি করা যায় তা খুঁজে দেখতে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভারতের মধ্য দিয়ে ফাইবার অপটিকসের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটা প্রস্তাব ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেন ভুটানকে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন শেখ হাসিনা।

সফর শেষে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!