• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাবা আমি না তোমার মেয়ে!


বরগুনার প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭, ০৯:৫১ পিএম
বাবা আমি না তোমার মেয়ে!

মনি কর্মকার

বরগুনা: জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় এক তরুণীকে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে দেশের বাইরে পাচার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই তরুণীর বাবা এবং  রফিক নামে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। আর এ কাজে সহাযোগিতা করেছে ওই তরুণীর চাচাতো ভাই পলাশ নামে অপর একব্যক্তি এমন অভিযোগ করেছেন মনি কর্মকার (১৮) নামের ওই তরুণী।

উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের ২নং কাকচিড়া ওয়ার্ডের কাকচিড়া বাজার সংলগ্ন গোবীন্দ কর্মকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গোবিন্দ কর্মকার ওই তরুণীর বাবা।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে গোবীন্দ কর্মকারের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবেশি পল্লী চিকিৎসক রফিক মনি কর্মকারকে জোর করে একটি ইনজেকশ পুশ করে। এতে মনি অচেতন হয়ে পড়লে ওই রাতে তাকে মঠবাড়ীয়ায় এক আত্মীয়র বাসায় নেয়া হয়। সেখানে ভোর রাতে মনি জ্ঞান ফিরে পেলে চিৎকার দিয়ে বলে আমি এখানে কেন?

এসময় তাকে তার বাবা গোবীন্দ কর্মকার এ্যালোপাথারী মারপিট করে এবং অচেনা লোকের হাতে তুলে দিতে চাইলে মনির চিৎকারে ব্যর্থ হয়। পরে মনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বাড়ি ফিরতে সক্ষম হলেও বিষয়টি কারো কাছে বলতে নিষেধ করে তার বাবাসহ অভিযুক্তরা। কিন্তু একপর্যায় বিষয়টি প্রতিবেশিদের মাধ্যমে জানাজানি হয়ে যায়।

এছাড়া রফিক নামের ওই পল্লী চিকিৎসকের নামে একাধিক ব্যক্তি বিভিন্ন অভিযোগ করেন। এর মধ্যে শহিদ নামে একব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, তার বাড়ির বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে জোর করে দখল করে আসছে রফিক।

এদিকে রায়হানপুর ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রহিম পহলান, কালাম, কবিরসহ একাধিক ব্যক্তি রফিকের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে একাধিক ব্যক্তির প্রাণ হারানোসহ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এবং বর্তমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তারা বলেন, রফিক একজন অর্থলোভী ও বেপরোয়া। তারা আরো অভিযোগ করেন, শহিদের জমির ব্যাপারে আমরা সালিশ করেছি, কিন্তু রফিক কোনো কিছুই মানে না।

এ ব্যাপারে কাকচিড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন পল্টুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রফিক ওই মেয়েটিকে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করেছে বলে শুনেছি।

এ বিষয়ে রফিকের কাছে জানতে চাইলে তিনি চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে বাউন্ডারি দেয়াল ভাঙার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয় আদালত মামলা রয়েছে।

মেয়ের অভিযোগের ব্যাপারে গোবীন্দ’র কাছে জানতে চাইলে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মেয়ে প্রতিবেশি একটি ছেলেকে পছন্দ করেন, যা আমার পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!