• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাবা-মা হারানো রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিশুপল্লী


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৯, ২০১৭, ০৭:০৯ পিএম
বাবা-মা হারানো রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিশুপল্লী

ঢাকা: এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের সুরক্ষার জন্য ‘শিশু পল্লী’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজারের উখিয়ার নিবন্ধিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধুছড়া এলাকায় ২০০ একর জমিও নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাবা-মা হারানো এতিম রোহিঙ্গা শিশুদের সনাক্ত করার কার্যক্রম শেষ হলে আগামী মাসে শিশু পল্লীর কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত গত ২৭ দিনে ১৫ হাজার ৭৯৯ জন রোহিঙ্গা এতিম শিশুকে সনাক্ত করা হয়েছে। ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।  

সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (কার্যক্রম) ও ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল অরফান চাইল্ড’ প্রকল্পের সমন্বয়কারী সৈয়দা ফেরদৌস আক্তার বৃহস্পতিবার(১৯ অক্টোবর) বিকালে এসব তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, ‘আমরা ভাবছি এ মাসের মধ্যে এতিম রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করার কাজ শেষ করতে পারবে। আগামী মাসে শিশু পল্লী নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ তবে রোহিঙ্গারা এখনও আসছে এই স্রোতে আরও বাড়লে প্রকল্পের কাজ কিছুটা দীর্ঘায়িত হতে পারে’ জানালেন ফেরদৌস আক্তার।  

সমাজসেবা অধিদপ্তরের ৮০ জন কর্মী ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে খুঁজে খুঁজে অনাথ শিশু সনাক্তকরণের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে শিশুর অভিভাবক ও মাঝিদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সনাক্তকরণের কাজটি করছেন।

যারা বাবা-মা দুজনকেই হারিয়েছে, যারা শুধু বাবা হারিয়েছে, যারা প্রতিবন্ধী, আর যারা মা-বাবার খোঁজ পাচ্ছে না এমন চারটি শ্রেণিতে এদের ভাগ করা হচ্ছে। শিশু আইন অনুযায়ী ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু হিসেবে গণনা করে তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে।

‘ইতোমধ্যে টেকনাফের ৫টি ক্যাম্পে সনাক্তকরণের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে বড় দুইটি ক্যাম্প কুতুপালং এবং বালুখালীতে। সনাক্ত হওয়া সকল এতিম শিশুকে সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরে পক্ষ থেকে স্মার্ট কার্ড দেয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযানে খুন হয়েছে অসংখ্য রোহিঙ্গা দম্পতি। তাদের বেঁচে যাওয়া সন্তানরা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে পালিয়ে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে।

এসব পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি বিশেষ সুরক্ষা অঞ্চল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই বিশেষ অঞ্চলে বিশেষ যত্নে দেখভাল করা হবে এসব শিশুদের।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!