• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাবুল আক্তারকে চেনেনই না সেই বর্ণি


জেলা প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৭, ১০:২৫ পিএম
বাবুল আক্তারকে চেনেনই না সেই বর্ণি

মাগুরা: সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটন হয়নি গত আট মাসেও। এর মধ্যে চাকরিচ্যুতও হয়েছেন বাবুল আক্তার। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ নিয়ে তার নিজ শহর মাগুরায় চলছে নানা গুঞ্জন।

সাবেক ওই এসপির সঙ্গে বনানী বিনতে বশির বর্ণি নামে এক নারীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের কথা নানাভাবে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবরও প্রকাশ হয়েছে। তবে এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন ওই নারী। গত মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মাগুরা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে বনানী বিনতে বশির বর্ণি এ বিষয়ে কথা বলেন।

এদিকে, পত্রিকায় বাবুল আক্তার ও বর্ণিকে জড়িয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মাগুরা প্রেস ক্লাবে আসেন বর্ণি। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, মূলতঃ শ্বশুর বাড়িসহ অন্যান্য জায়গায় তার প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতেই তার ননদরা এ ধরণের কল্প-কাহিনীর আশ্রয় নিচ্ছেন।

বর্ণি বলেন, ‘আমি মাগুরার রবি মোবাইল ফোন কোম্পানির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে সার্ভিস প্রোভাইডার হিসাবে চাকরি করি। আমার বাবার বাড়ি ঝিনাই থেকে এসে অফিস করি। কখনোই বাবুল আক্তারের মাগুরার বাসায় থাকিনি। আমি বাবুল আক্তারদের চিনিও না।’

এসময় স্থানীয় সাংবাদিকরা বর্ণির কাছে প্রশ্ন করেন, আপনি ২০১৫ সালে ২৪ জানুয়ারী মাগুরা প্রেস ক্লাবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্বামী আকরাম হোসেনের বোন জান্নাত আরা ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন বাবুল আক্তারের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় আব্দুল ওয়াদুদকে আপনার খালু বলে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। তবে কেন বলছেন বাবুল আক্তারের পরিবারের কাউকে চিনি না।

জবাবে বর্ণি জানান, সে সময় আমার বাবা উপস্থিত ছিলেন। তিনি কাকে সাথে করে এনেছিলেন আমি জানি না। যেহেতু বাবা দীর্ঘ দিন ধরে মাগুরার মহম্মদপুরে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনে কর্মরত, তাই এখানকার অনেকের সাথে জানাশুনা থাকতে পারে।

তবে বাবুল আক্তারের ছোট ভাই আইনজীবী হাবিবুর রহমানের সাথে পরিচয়ের কথা স্বীকার করে বর্ণী বলেন, ২০১৫ সালে আইনগত সহায়তা নেয়ার জন্য তার কাছে এসেছিলাম।

এ ব্যাপারে মাগুরা শহরের বসবাসকারী এসপি বাবুল আক্তারের ছোট ভাই অ্যাড. হাবিবুর রহমান লাবু জানান, বর্ণি নামে কোনো মেয়ে কখনোই আমাদের বাড়িতে থাকেনি। আমার পরিবারের কেউ তাকে চিনে না পর্যন্ত। দু’একটি পত্রিকায় বর্ণি নামের একটি মেয়ে এবং আমার ভাই বাবুলকে জড়িয়ে যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তার বিন্দু মাত্র সত্যতা নেই।

তবে বাবুল আক্তারের কাউন্সিলপাড়ার প্রতিবেশী ডিম ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, বর্ণিকে তিনি চেনেন। বর্ণি দীর্ঘদিন বাবুল আক্তারের কাউন্সিল পাড়ার বাসাতে থাকেন। তিনি আরো জানান, বাবুল আক্তারের ছোট ভাই অ্যাড. হাবিবুর রহমান লাবুর সাথে বর্ণি মাঝে মাঝে মেয়েসহ মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর্ণি লাবুর খালাতো বোন বলে পরিচয় দেন।

চাকরিচ্যুত এসপি বাবুল আক্তারের বাড়ি মাগুরা শহরের কাউন্সিল পাড়ায়। সেখানে তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ, মা, ছোট ভাই অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবু এবং লাবুর স্ত্রী বসবাস করেন।

গেল বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা। হত্যাকাণ্ডের পর স্বামী বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

এসপি বাবুলের পরকীয়া নিয়ে মাগুরায় নানা গুঞ্জন

সোনালীনিউজডটকম

Wordbridge School
Link copied!