পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার স্বেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলে দাবি করেছেন তার শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাবুল চাইলেও তাকে কাজে যোগ দিতে দেয়া হয়নি।’
এ ব্যাপারে জানতে বাবুল আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেছেন, “বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র এসেছে। এর আইনগত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নিয়ম অনুসারে যা যা করার দরকার, করা হচ্ছে।”
বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বলেন, “বাবুল পদত্যাগ করেছেন বলে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক নয়। বাবুল চাকরি ছাড়তে চাননি।”
তিনি বলেন, “পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা কীভাবে, কোথায় বসে, কার মাধ্যমে পদত্যাগপত্র দিচ্ছেন, সেটা একটা বড় ব্যাপার। জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাবুলকে নেয়া হয়েছিল ২৪ জুন রাতে। ওই দিন তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রে সই নেয়া হয়। সেটা ছিল শুক্রবার। ছুটির দিনে একজন কর্মকর্তা কী করে পদত্যাগ করবেন?”
মোশাররফ হোসেন বলেন, “বাবুল যদি পদত্যাগ করেন, তাহলে এত দিন সেটা কোথায় ছিল? কারণ, পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছিল, বাবুল চাকরিতেই আছেন।”
বাবুলের শ্বশুর বলেন, “চাকরি চলে গেলে বাবুল নিরাপত্তাহীন হয়ে যাবেন। তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর আক্রোশের শিকার হতে পারেন।”
বাবুল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে আসার কয়েকদিনের মধ্যে গত ৫ জুন বন্দর নগরীতে বাসার কাছে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হন তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু।
স্কুলপড়ুয়া ছেলের সামনেই মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর বাবুল চট্টগ্রামে গিয়ে মামলা করে ছোট্ট দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় এসে শ্বশুরের বাড়িতে ওঠেন। হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ঢাকায় গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বাবুলকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর নানা গুঞ্জন শুরু হয়।তাকে সন্দেহের কথাও আসে গণমাধ্যমে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ
আপনার মতামত লিখুন :