• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাম মোর্চার ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ১৫, ২০১৭, ০২:০১ পিএম
বাম মোর্চার ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা

পুলিশের বাঁধায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করতে পারেনি বামপন্থী দল সিপিবি-বাসদের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে নেতা-কর্মীরা সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে তারা পুলিশের ব্যারিকেডে পড়ে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে প্রেস ক্লাবের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

বেলা ১১টার কিছু সময় আগে মোর্চার সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দলের প্রায় একশ নেতা-কর্মী জাতীয় প্রেসক্লাবে জড়ো হয়। বেলা ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যায়। তাদেরকে বাধা দিতে প্রেসক্লাবের পাশেই সচিবালয়ের প্রথম গেটে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। এরপর সেখানে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।

এরপর আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা আবার সংগঠিত হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে আবার সমাবেশ করে।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জুনায়েদ সাকি বলেন, ‘পুলিশ সম্পূর্ণ অযৌক্তিভাবে তারা আমাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে লাঠিপেটা করেছে।’ গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার এখন জনগণের পকেট মারার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।’

এই সমাবেশের পর গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতা-কর্মীরা মিছিল করে পল্টনের দিকে চলে যায়। সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেতা-কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, সরকার জনগণের স্বার্থের কথা বললেও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছে। এ কারণে পাইপলাইনে গ্যাসের বদলে বাড়িতে এলপি গ্যাসে রান্না উৎসাহিত করতেই গ্যাসের দাম বাড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাভিদ কামাল সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমরা সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল না। তারা উশৃঙ্খলতা করে ব্যারিকেড ভেঙে দেয়ায় আমরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছি।

গ্যাস সংকটের কারণে সরকার বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে চাহিদা মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই গ্যাসের দাম (নয় ডলারের মতো) বাংলাদেশে উৎপাদিত গ্যাসের দামের চেয়ে (২.৪ ডলার) অনেক বেশি। আগামী বছরেই এই গ্যাস ব্যবহার শুরু হবে। এ জন্য সরকার আগে থেকেই মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১ মার্চ থেকে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আবাসিকে দুই চুলার বিল ধরা হয়েছে ৮৫০ টাকা। পরিবহনে ব্যবহৃত সিএনজির দাম ৩৮ টাকা করা হয়েছে। আগামী জুনে গ্যাসের দাম আরেক দফা বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রয়েছে ছয় মাস।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!