• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

বালাইনাশক আইনে শাস্তি বাড়ছে


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ৩১, ২০১৭, ০২:১১ পিএম
বালাইনাশক আইনে শাস্তি বাড়ছে

ঢাকা : শাস্তি বাড়িয়ে ‘বালাইনাশক আইন, ২০১৭’ এর খসড়া চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।

এর আগে গত ২০ মার্চ বালাইনাশক আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘১৯৭১ সালের অধ্যাদেশ ধরে পেস্টিসাইড সেক্টরটা চলছিল। পেস্টিসাইড অর্ডিন্যান্সকে বাংলায় অনুবাদ করে একটু পরিমার্জন করে নতুন বালাইনাশক আইন করে আনা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কীটনাশক শব্দটি সবকিছু কাভার করে না, এজন্য বালাইনাশক দিয়ে সবটা কাভার করা হয়েছে। পোকা ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া, কৃমি, ভাইরাস, আগাছা বা ইদুর জাতীয় প্রাণী বা অন্য উদ্ভিদ বা কীটপতঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, ধ্বংস প্রশমনের বিষয় বালাইনাশকের মধ্যে চলে আসে।’

পুরনো আইটিকে ঠিক রেখে নতুন আইনে অপরাধের শাস্তি বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, ‘রেজিস্ট্রার্ড ব্র্যান্ডের কোনো বালাইনাশক বিক্রি বা বিক্রির জন্য উন্মোক্ত, মজুদ বা বিজ্ঞাপন দিলে যার ট্যাগ, লেবেল বা প্যাকেজ চিহ্নিত ব্র্যান্ডের প্রকৃতি, উপাদান বা গুণাগুণ যুক্ত না হলে এবং বিজ্ঞাপনে বালাইনাশক মিথ্যাভাবে উপস্থাপন করলে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘কেউ এই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধ আবার করলে জরিমানা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ও অনাদায়ে সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘উৎপাদনকারী বালাইনাশক আইনের বিধান অনুযায়ী উৎপাদন করা হয়েছে বলে ডিলারকে মিথ্যা নিশ্চয়তা দিলে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বালাইনাশকের নিবন্ধন নম্বরের অননুমোদিত ব্যবহার, বালাইনাশকের মান কমানো, পরিদর্শককে কর্তব্য পালনে বাধা দেয়া ও নিবন্ধনের সময় মিথ্যা তথ্য দিলে ৭৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা এক বছর থেকে ২ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’

পরিদর্শক বা উদ্ভিদ সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া এই আইনের অধীনে আদালত কোন মামলা আমলে নেবে না বলেও জানান শফিউল আলম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এই আইনের আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইনের যে অংশটুকু মোবাইল কোর্ট আইনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সেক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টে পরিচালনায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বিচার করতে পারবেন।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!