• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাল্যবিয়ে মেনে না নেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মাম


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৬, ০৭:০৪ পিএম
বাল্যবিয়ে মেনে না নেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মাম

চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাশনে বাল্যবিয়ে মেনে না নেয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছে কনেপক্ষ। স্বামী অলিউদ্দিনের বিরুদ্ধে কনেকে বাদী করে আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন তারা।  

বর অলিউদ্দিন জানান, মিয়াজানপুর একটি মসজিদে মোয়াজ্জেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। একপর্যায়ে মেয়ের ভগ্নিপতি চরফ্যাশন বাজারস্থ জনতা মেডিকেলের মালিক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাকে তাদের পরিচালিত একটি সমিতির সদস্য করেন মনির। অলিউদ্দিন অবিবাহিত জেনে তার শ্যালিকা আলিম পাস এবং সুন্দরী জানিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মনির। অলিউদ্দিন বিয়েতে সম্মতি জানালে গত বছরের জুন মাসে ১ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর মুখে জানতে পারেন সে এ বছর দাখিল পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার নিবন্ধন কার্ডে তার জন্ম তারিখ ০২/০৩/২০০১। প্রকৃত বয়স জানতে পেরে বাল্যবিয়ের প্রতিবাদ করে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসেন। বাল্যবিয়ের বিষয়টি তিনি বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান।

এরপর কোনো সুরাহা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ চরফ্যাশন থানা এবং স্থানীয় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চরফ্যাশন উপজেলা শাখায় অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষে এবং স্থানীয় দুইজন সংবাদ কর্মীর সমন্বয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করেন।

তদন্ত টিমের সদস্য এম মাহাবুবুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার নুরাবাদ হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসায় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিষয়টি অনুসন্ধানে গিয়ে মেয়েটিকে দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্রে দেখা গেছে। প্রবেশপত্র অনুযায়ী তার রোল নম্বর-২২১২৩০।

এ সময় কেন্দ্রে অবস্থানরত দুলারহাট মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম ও কেন্দ্রসচিব নুরাবাদ হোসাইনিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ওবায়েদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বসেছি কিন্তু বিষয়টির সমাধা দিতে পারি নি।

মেয়ের বাবা দক্ষিণ শিবা জমিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল বাশার জানান, বিয়ের সময় আমি ঢাকা ছিলাম। আমার স্ত্রী ফরিদা এবং জামাই মনিরুল ইসলাম এ বিয়ে দিয়েছেন। তবে বিয়েতে আমার সম্মতি ছিল।

মানবাধিকার চরফ্যাশন শাখা সভাপতি সাংবাদিক এম মনিরুজ্জমান শহীদ জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের বিষয়টি বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারি পৌর নির্বাচন শেষে উভয় পক্ষকে ডেকে বিষয়টি শুনে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেব।’

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!