• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাল্যবিয়ের দায়ে জনপ্রতিনিধিদের পদচ্যুতি কেন নয়


আদালত প্রতিবেদক অক্টোবর ৩০, ২০১৭, ০৩:০১ পিএম
বাল্যবিয়ের দায়ে জনপ্রতিনিধিদের পদচ্যুতি কেন নয়

ঢাকা: যেসব এলাকায় বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটবে সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের পদচ্যুতি করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি বাল্যবিয়ে নিজ এলাকায় সম্পন্ন হলে তাদের (স্থানীয় জন প্রতিনিধি) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পদচ্যুতির আদেশ কেন দেয়া হবে না, সে বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইনসচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ সচিবকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একইসঙ্গে আদালতের এই রুলের কপি সব জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ অক্টোবর বিকেল থেকে ২৭ অক্টোবর বিকেল পর্যন্ত নাটোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ঢাকার সাভারে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় আট কিশোরী। এর মধ্যে নাটোরের লালপুরে এক হবু বর ও বাড়ির মালিককে কারাদণ্ডাদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম নজরুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কুষ্টিয়ায় পাঁচটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। সাভারে সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ইউএনওর হস্তক্ষেপে নবম শ্রেণির একজন ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে তার বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষকের বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। বরিশালে ইউএনওর হস্তক্ষেপে একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) তথ্যমতে, যেসব দেশে বাল্যবিয়ের হার বেশি তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ২০১৫ সালে ইউনিসেফের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর করা জরিপের ফল অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৪ বছর বয়সী ৫২ শতাংশ নারীর ১৮ বছর পার হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে। আর বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে বাল্যবিয়ে ঘটনা ঘটেছে ১১৬টি, যা গত এক বছরে ছিল ১৭৭টি। সংগঠনটি ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের ভিত্তিতে এই হিসাব রাখে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু বেশি হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হলো বাল্যবিয়ে। শরীর সন্তান ধারণের উপযুক্ত হওয়ার আগেই মেয়েরা গর্ভবতী হয়। আবার এসব কিশোরীর গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুরও মৃত্যুঝুঁকি বেশি।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!