• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
মশক নিধনে ডিএসসিসির কঠোর অবস্থান

বাসাবাড়িতে প্রজননক্ষেত্র পেলেই জেল-জরিমানা


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২০, ২০১৮, ১২:৫২ পিএম
বাসাবাড়িতে প্রজননক্ষেত্র পেলেই জেল-জরিমানা

ঢাকা : চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু জ্বরের মতো মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ অভিযানের পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এর অংশ হিসেবে বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার মতো কঠোর আইন প্রয়োগ করবেন ডিএসসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ডিএসসিসি নগর ভবনের ব্যাংক ফ্লোর সভাকক্ষে গতকাল সোমবার ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির আওতায় মশাবাহিত রোগপ্রতিরোধ ও মশক নিয়ন্ত্রণবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ১৭ মার্চ থেকে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ শীর্ষক বিশেষ পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

সাঈদ খোকন বলেন, কোনো নাগরিককে বিব্রত করা আমাদের উদ্দেশ্য না। সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের উদ্দেশ্য। প্রত্যেককে আমরা অনুরোধ করছি তারা যেন নিজেদের বাসাবাড়ি, বাড়ির আশাপাশ, আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখেন। কোনো অবস্থাতে যেন এডিস মশা প্রজননক্ষেত্র তৈরি করতে না পারে।

তিনি বলেন, আগামী ৮ এপ্রিল থেকে আমরা ডিএসসিসি এলাকায় বিশেষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। এর আগে এই মোবাইল কোর্টের অভিযান সম্পর্কে আমরা সংবাদমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ৬৫ হাজার হোল্ডিংয়ের প্রত্যেকটাতে পৌঁছে দেব। ২০ মার্চ থেকে সংবাদমাধ্যমগুলোয় এই গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হবে। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকবে যেন কোনো নাগরিককের বাসাবাড়ি বা বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত টায়ার বা কন্টেইনারে স্বচ্ছ পানি জমে না থাকে। সেগুলো যেন পরিষ্কার করা হয়। সচেতনতা তৈরিতে এই গণবিজ্ঞপ্তি ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

প্রচলিত আইনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে সাঈদ খোকন বলেন, আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছি, যা আগে কখনো করিনি। আমরা চাই না নগরবাসীর অবহেলার কারণে অন্য কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আমরা দণ্ডবিধির ২৬৯ এবং ২৭০-এর আওতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় যদি কোনো বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া যায় কিংবা এই মশার জীবাণু পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজা মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরিন বানু, সেফওয়ে পেস্ট কন্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর চৌধুরী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!