• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিন

বাড়ি ফেরার জট


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৩, ২০১৭, ০২:৪৪ এএম
বাড়ি ফেরার জট

ঢাকা : পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আজ শুক্রবার (২৩ জুন) ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনেও ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে রাজধানীর রেলস্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়ছে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে।

ঈদের আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায়, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীচাপ ক্রমেই বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন, বিভিন্ন বাস টর্মিনাল ও সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে এসব স্থানে।

এদিকে যাত্রীরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন, এ জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দল রয়েছে টার্মিনালে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য বিভিন্ন পোস্টারে অজ্ঞান ও মলম পার্টির বিষয়ে যাত্রীদের সচেতন করা হয়েছে।

বিআরটিএ ঢাকা মেট্রো-৩-এর মেকানিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সৌরভ কুমার সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত ঈদের ব্যস্ততা খুব বেশি বাড়েনি। গতকাল বিকেল থেকে মূল ব্যস্ততা শুরু হবে। এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর কাছে ভাড়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় হাসিমুখেই ঢাকা ছাড়ছেন রেলপথের যাত্রীরা। স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সকাল থেকে ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়েই নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে। দিনের শুরু থেকে এপর্যন্ত সকল ট্রেন সঠিক সময় অনুযায়ি ছেড়ে গেছে। পরের ট্রেনগুলোও নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

যারা আগে টিকিট কেটে রেখেছিলেন তারা নির্বিঘ্নে যাত্রা শুরু করছেন। আর যারা টিকিট কাটেননি তারা তাদের টিকিটের জন্য এক কাউন্টার থেকে অন্য কাউন্টারে ছুটছেন। রাজধানীর গাবতলীর বাস টার্মিনালে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। দুরপাল্লার গাড়িগুলো যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত গন্তব্যে ছেড়ে যাচ্ছে। অন্যান্যবার উত্তরের পথে যাওয়া যাত্রীদের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের যে দুর্ভোগ পোহাতে হতো আজ এই সড়কে এখন পর্যন্ত যানজটের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এই পথে যান চলাচল স্বাভাবিকভাবেই চলছে। গতকাল সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১২টার পর থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে চাপটা বেড়েছে। আজই শেষ কর্মদিবস। অফিস থেকে বের হয়েই সবাই ঢাকা ছাড়ছে।

অন্যদিকে, গতকাল বিকেল শুরু হওয়ার সাথে সাথেই মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। বেশির ভাগ বাস কোম্পানি ঈদের প্রস্তুতি হিসেবে টার্মিনালে বাস জমা রাখায় সময়ের হেরফের হচ্ছে না। ঢাকার সড়কে যানজটের বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু বাস নির্দিষ্ট সময়ের ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর গন্তব্যের দিকে ছেড়ে যাচ্ছে। সকালে মানুষের সংখ্যা কম হলেও বিকেলের দিকে বেড়েছে।

অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহলে নিরাপদেই বাড়ি ফিরছেন মানুষ। যাত্রীরা যেন কোনো হয়রানির শিকার না হন, এ জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দল টার্মিনালগুলোতে রয়েছে।  

এছাড়া বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের সচেতনতার জন্য দেখানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের নাটিকা। এসব নাটিকায় যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হচ্ছে। অপরিচিত কারও কাছ থেকে কোনো কিছু না খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কীভাবে অপরিচিত লোক ক্ষতি করতে পারে, এ ব্যাপারে ধারণা দেয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য বিভিন্ন পোস্টারে অজ্ঞান ও মলম পার্টির বিষয়ে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!