• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বাড়ির উঠানে প্রেমিকাকে দেখে পালাল প্রেমিক


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি     নভেম্বর ৫, ২০১৭, ০২:০২ পিএম
বাড়ির উঠানে প্রেমিকাকে দেখে পালাল প্রেমিক

সিরাজগঞ্জ: দীর্ঘদিন ধরেই চুটিয়ে প্রেম করেছে। বুঝিয়েছে তুমি অন্য ধর্মের হয়েছ তো কী হয়েছে, আমরা সকল কিছু ছাপিয়ে এক সঙ্গে থাকবো। করেছিলও তাই দুজনে বিয়ে করে গোপনে ঘরও বেঁধেছিল, কিন্তু সবার সামনেই আসলেই ভালোবাসার গণেশ উল্টে গেলো। হ্যাঁ, এমনি একটি হতাশাজনক ভালোবাসার ঘটনা ঘটেছে সীরাজগঞ্জে।

শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল থেকে জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার বেংনাই গ্রামের ডা. জয়নাল আবেদীনের বাড়িতে অনশন করছেন এক নওমুসলিম তরুণী। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ওই তরুণী ডা জয়নালের সরকারি চাকরিজীবী ছেলে মাহবুবুল আলম চয়েসের প্রেমিকা ও বিবাহিতা স্ত্রী। স্ত্রীর উপস্থিতি টের পেয়ে মাহবুবুল আলম বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন।

পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের বেংনাই গ্রামের ডা. জয়নাল আবেদীনের ছেলে সরকারি চাকরিজীবী মাহবুবুল আলম চয়েসের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ফুলকোচা গ্রামের বাসিন্দা গ্রাম্য পুলিশ বৈদ্যনাথ দাসের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে গোলাপী রানী দাসের দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

এক পর্যায়ে হিন্দু ধর্ম মতে মাহবুবুল আলম চয়েস ২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল গোলাপী রানীকে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করেন। এরপর চলতি বছরের ১৬ জুলাই সিরাজগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এভিডেফিট করে গোলাপী রানী দাস মুসলমান হন। পরবর্তীতে তারা দুজন সিরাজগঞ্জ শহরের মাসুমপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন।

আব্দুস সালাম বলেন, এ নিয়ে তিন মাস আগে আমার ইউনিয়ন পরিষদ চত্ত্বরে সালিশি বৈঠক করে ঘটনার সত্যতা মেলে। বৈঠকে বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ছোনগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল আলম, খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল হাসান রশিদ মোল্লাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশি বৈঠকে মাহবুবুল আলম চয়েস দোষী সাব্যস্ত হয়।

এরপর সালিশের রায় ঘোষণার পর ছেলে পক্ষের লোকজন ১০ দিনের সময় নেয়। ১০ দিন অতিবাহিত হলের তারা আর কোনো সাড়া না দেয়ায় বিষয়টি আর মীমাংসা হয়নি। যে কারণে শনিবার সকালে ওই মেয়েটি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিক মাহবুবুল আলমের রায়গঞ্জ উপজেলার বেংনাই গ্রামের বাড়িতে অনশন শুরু করেছে।

এ বিষয়ে অনশনকারী নওমুসলিম রেখা খাতুন ওরফে সম্পা (গোলাপী রানী দাস) বলেন, আমি এ বাড়িতে আসার পর আমার স্বামীর স্বজনেরা আমাকে নানাভাবে গালিগালাজসহ বাড়ি থেকে তাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আমাকে নানা রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। আমি এখন অসহায়ের মতো জীবন-যাপন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত এই বাড়িতে অবস্থান করব এবং আমার অধিকার আদায় করে নেব।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Wordbridge School
Link copied!