• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যা: পুলিশের তদন্ত কমিটি


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মার্চ ২৯, ২০১৮, ০৫:১১ পিএম
বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যা: পুলিশের তদন্ত কমিটি

হবিগঞ্জ: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কিশোরী বিউটি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করে পুলিশ। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটিকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা (বানিয়াচং সার্কেল) ও সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম (সদর সার্কেল)।

পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি শায়েস্তাগঞ্জের ব্রাহ্মণডোরা গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর মেয়ে বিউটি আক্তারকে (১৬) বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বাবুল মিয়া ও তার সহযোগীরা। এক মাস তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার পর বিউটিকে কৌশলে তার বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায় বাবুল।

এ ঘটনায় গত ১ মার্চ বিউটির বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে বাবুল ও তার মা স্থানীয় ইউপি মেম্বার কলম চানকে আসামি করা হয়।

পরে মেয়েকে সায়েদ আলী তার নানার বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন। বাবুল ক্ষিপ্ত হয়ে ১৬ মার্চ বিউটি আক্তারকে উপজেলার গুনিপুর গ্রামের তার নানার বাড়ি থেকে রাতের আঁধারে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। ফের ধর্ষণের পর তাকে খুন করে লাশ হাওরে ফেলে দেয়। এ ঘটনার পর দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

বিউটিকে হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ১৭ মার্চ তার বাবা সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলম চান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে আটক করে। বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণডোরা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত বাবুল মিয়ার খালা জহুর চান বিবি (৬০) ও খালাতো বোন ঝুমা আক্তারকে (২০) আটক করা হয়। কিন্তু মূল হোতা বাবুলকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!