• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বিএনপি নির্বাচনে গেলে সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না’


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮, ০৯:৩১ পিএম
‘বিএনপি নির্বাচনে গেলে সরকারের অস্তিত্ব থাকবে না’

ফাইল ফটো

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে সাড়ে ৪ হাজার গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি করা হয় দুই লাখ ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে। সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে এগুলো করছে। তারা বুঝতে পেরেছে বিএনপি নির্বাচনে গেলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। তারা এটাও জানে দেশনেত্রী কারাগার থেকে বাইরে আসলে জনগণ তাদের ধূলোর মতো উড়িয়ে দেবে।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বহুদলীয় মতবিনিময়’ শীর্ষক সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

জোট শরিকদের উদ্দেশ্যে  বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনার এই দেশ, আপনাকেই রক্ষা করতে হবে। আপনার মানুষকে আপনাকেই রক্ষা করতে হবে। অন্য কেউ উড়ে এসে আমাদের রক্ষা করে দেবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন কোনো স্বৈরাচার সরকারের কনফিডেন্সের অভাব দেখা দেয় তখন তারা এমন নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। ১৬ কোটি মানুষের ওপর পাথর চাপিয়ে আর কয়দিন ক্ষমতায় থাকবেন? এত ভয় করেন কেন? ১০ বছরে বহু রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আপনাদের হাত। তারা সুপরিকল্পতিভাবে দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকারের একদিন বিচার হবে।’

তিনি বলেন, আমাদের স্ট্যান্ডিং কমিটির সমস্ত নেতারা অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলাম। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের জন্য। তিনি আমাদের কথাও দিয়েছিলেন যে তাদের মেডিকেল বোর্ডে যুক্ত করা হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।

নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমাদের কথা খুব পরিষ্কার দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন। সমস্ত নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সংসদ ভেঙে দিয়ে সেনা মোতায়েন করুন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি তো নির্বাচনে যেতেই চাই। কিন্তু কোনো নির্বাচন যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে না সেই নির্বাচন নয়। এই রকম ভাঙা লোক দিয়ে নির্বাচন হবে না। পুলিশ দেখলে যারা ভয় পায় এরা নির্বাচন পরিচালনা করবে কী করে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সে সময় আওয়ামী লীগ সহযোগিতা না করলেও এখন সে মামলা দিয়ে বিএনপিকে দমন করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডাভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!