• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিকে গিলে খাচ্ছে দুই সিন্ডিকেট


মেহেদী হাসান, নিউজরুম এডিটর অক্টোবর ২৬, ২০১৬, ১০:০৬ পিএম
বিএনপিকে গিলে খাচ্ছে দুই সিন্ডিকেট

ঢাকা: এক দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এখন পার করছে নাজুক অবস্থা। সাংগঠনিক কাঠামো অনেকটাই নড়বড়ে। রাজপথের আন্দোলন নেই। নেতাকর্মীদের পদচারণা নেই দলীয় কার্যালয়গুলোতে। বিগত সময়ে দেশব্যাপী ব্যর্থ আন্দোলন সহিংসতার দায় কাঁধে নিতে হয়েছে দলটিকে। এর মধ্যেই ক্ষমতার আসনটি হারিয়ে গেছে সোনালী দিগন্তের ওপারে।

এ বিপর্যস্তকর পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে নানা শাখা-উপশাখায়। এর মধ্যে নেতা ও আমলা কেন্দ্রীক দুটি সিন্ডিকেট উঠে এসেছে আলোচনায়। তৃণমূল নেতাদের দাবি, এ দুটি সিন্ডিকেট দলকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। তাদের নেতৃত্বেই পরিচালিত হচ্ছে যাবতীয় কার্যক্রম। দু’পক্ষের স্বেচ্ছাচারিতাও চরম আকার ধারণ করেছে।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নেতানির্ভর ও আমলানির্ভর -এই দুটি সিন্ডিকেটের রশি টানাটানিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

দলীয় সূত্রমতে, বিএনপি চেয়ারপারসনের একজন বিশেষ সহকারীর নেতৃত্বে সাবেক আমলা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। আর অন্যটি গড়ে উঠেছে স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সমন্বয়ে। যাকে বলা হচ্ছে নেতানির্ভর সিন্ডিকেট।

অভিযোগ রয়েছে, ওই দুই সিন্ডিকেটকে পেছন থেকে শক্তি জোগাচ্ছেন ঢাকার মহানগর বিএনপির একজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। যিনি দলের স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে অধিক পরিচিত। বর্তমানে নেতা ও আমলানির্ভর দুই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক মধ্যম সারির নেতা। যারা ইতোমধ্যে সিন্ডিকেটের তল্পিবাহক হয়ে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করে ফেলেছেন। তাদের অপকর্মের খবর এখন কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, সংখ্যার দিক বিবেচনায় প্রথম সিন্ডিকেটটি ( নেতানির্ভর) শক্তিশালী হলেও ক্ষমতার দিক দিয়ে সব কর্মকাণ্ডে ছড়ি ঘোরাচ্ছে চেয়ারপারসনের কার্যালয়কেন্দ্রিক আমলানির্ভর সিন্ডিকেট। তাদের সেই প্রভাব খাটানোর দৃষ্টান্ত দেখা গেছে কেন্দ্রীয়সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে।

সূত্রমতে, সব জায়গায় নিজেদের একক আধিপত্য বজায় রেখে চলেছে আমলানির্ভর সিন্ডিকেট। তাদের কারণেই দূরে সরে যেতে হয়েছে দলের শীর্ষ দ্বিতীয় নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে এমন নেতাদের।

তবে দলের এই সিন্ডিকেট নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে রাজি নয় কেউই। জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স দাবি করে বলেন, ‘আমাদের দলে সিন্ডিকেটের কোনো অস্তিত্বই নেই। চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি।’

প্রিন্স আরো বলেন, ‘বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। ভিন্নমত অথবা মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তবে ঐক্যের কোনো অভাব নেই। আসলে সিন্ডিকেটের কথা যারা বলছেন, তারা দলের ভেতরে থাকা সরকারি এজেন্ট।’

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!