• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপিতে ‘গোপন বৈঠক’ আতঙ্ক!


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ৩, ২০১৮, ০৭:৪৭ পিএম
বিএনপিতে ‘গোপন বৈঠক’ আতঙ্ক!

ঢাকা: গোপন বৈঠকের অভিযোগে বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে দলটির তৃণমূলে। এভাবে ধরপাকড় চলতে থাকলে দলটিতে একসময় নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। 

ক্ষুব্ধ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে। এটি দেশকে রাজনীতিশূন্য করার প্রক্রিয়ারও অংশ। তবে ইতিহাস বলে, এভাবে কোনো স্বৈরাচার অতীতে এ দেশে টিকতে পারেনি। বর্তমান সরকারও পারবে না।

সরকারকে হুশিয়ার করে তিনি বলেন, তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডগুলো জনগণ গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে তারাই একদিন রুখে দাঁড়াবে। তখন এ সরকারের পতন হবে।

বিএনপির তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, প্রথমে হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেপ্তার শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একইভাবে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। এখন বিএনপি নেতারা কোথাও বসলেই গোপন বৈঠকের অভিযোগে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরাফাত সিদ্দিকী নামের একজন তৃণমূল নেতা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরকারকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘বিএনপি কি কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল? না দেশে বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ?’

রক্তাক্ত পলাশ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দায়িত্বশীল সকল নেতাকে গ্রেপ্তার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। ঢাকা মহানগরের প্রায় সব সিনিয়র নেতা এখন কারাগারে। কেন্দ্রীয় নেতারা যাতায়াতের মধ্যে রয়েছেন। বিএনপিতে নেতৃত্বশূন্যতা দেখা দিতে পারে।’

প্রসঙ্গত, গত রোববার সন্ধ্যায় বাংলামোটর থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ মহানগর বিএনপির ১৬ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, গোপন বৈঠকের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রমনা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি, গাজীপুর ও খুলনার মেয়র নির্বাচন বিষয়ে আলোচনার জন্য বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারের এসব নেতাকর্মী বসেছিলেন। 

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন দমন করতেই নেতাকর্মীদের এভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। 

এর আগে গত ২০ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কবির মুরাদ ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতসহ ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করে নড়াইল জেলা পুলিশ। তারা নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের গ্রামের বাড়ি কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি থানার খাশিয়াল গ্রামের লোকজন। পুলিশের অভিযোগ, তারা গোপন বৈঠক করছিলেন।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!