• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচন

বিএনপির ভয় কালো টাকা ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব


নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ২১, ২০১৮, ০৪:৫২ পিএম
বিএনপির ভয় কালো টাকা ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব

ঢাকা : আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কালো টাকা ও প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে চিন্তিত বিএনপি। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দুই সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা কালো টাকা ছড়াচ্ছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুণ অর রশীদ। এতে নিরপেক্ষ অবস্থানে প্রশাসন থাকছে না বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে দলটির আরেক দুশ্চিন্তা ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী।
 
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটাধিকার, মানবাধিকার নেই। দুঃশাসনে মানুষ সরকারবিমুখ। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে গাজীপুর ও খুলনায় ভোট বিপ্লব ঘটবে বিএনপির পক্ষে। ভোটারদের ভোট দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে।

গাজীপুরে জামায়াতের প্রার্থীর বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে জোটের বৈঠকে শরিক দলগুলো বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় আছে। যথাসময়ে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন জানিয়ে জামায়াতের প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন।

গাজীপুর ও খুলনায় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। এ ছাড়া গাজীপুরে প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করা হয়েছে গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনকে। আর খুলনায় প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট করা হয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম মনাকে। কেন্দ্র থেকে সার্বিক বিষয় মনিটর করবেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০-দলীয় জোটের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে জোট নেতারা বিএনপির প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি নেতাদের বাইরে ২০ দলকে সমন্বয় করতে আরো দুটি সমন্বয় উপকমিটি আছে। এ সমন্বয় কমিটিতে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (একাংশের) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদকে খুলনা ও জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা মোস্তাফা জামাল হায়দারকে খুলনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুর জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, বর্তমান মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক এমএ মান্নান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে। দলের প্রার্থীর পক্ষে তিনি মাঠে না থাকলে সমস্যা হবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন শুক্রবার (২০ এপ্রিল) বলেন, আসন্ন দুই সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারদলীয় প্রার্থীরা গোপনে কালো টাকা ছড়াচ্ছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন। গাজীপুরের এসপিও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে গোপনে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি সিইসিকে অবহিত করা হয়েছে। ইসির পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

খুলনা সিটি নির্বাচনের সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের জনগণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। বিএনপি জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে জেলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জনগণের সামনে তুলে ধরবে বিএনপি। এসব বিবেচনায় বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!