• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত শতাধিক


ফরিদপুর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, ০৯:২২ পিএম
বিএনপির মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত শতাধিক

ফরিদপুরে বিএনপির মিছিলে পুলিশি অ্যাকশন

ফরিদপুর: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দলটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বেধড়ক পিটুনি ও ফাঁকা গুলিতে সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর শহরের সুপার মার্কেট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের পিটুনির শিকার হয়ে গুরত্বর আহত হন দুই সাংবাদিক। পরে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। সকালে থেকেই শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সুপার মার্কেট চত্বরে আসতে থাকে নেতাকর্মীরা।

এসময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এসআই নাসিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যানার কেড়ে নেয়। এছাড়া পুলিশ কয়েক দফায় নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা ও সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়। বেলা সোয়া ১১টার  দিকে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু সেখানে পৌঁছালে পুলিশ আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

এক পর্যায়ে এসআই নাসির, হারুন, আবুল ও কনস্টেবল নাহিদুলের নেতৃত্বে পুলিশ এলোপাথাড়ি লাঠিপেটা শুরু করলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েলসহ নেতারা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশও পাল্টা ৫/৭ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বাংলা ভিশনের জেলা প্রতিনিধি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী শংকার, নয়া দিগন্তের জেলা প্রতিনিধি হারুন আনসারী রুদ্র মারাত্বকভাবে আহত হন। এরমধ্যে শংকর প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও মাথা ও হাতে আহত গুরুত্ব হওয়ায় হারুন আনসারীকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে পুলিশ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোদাররেছ আলী ইছা ও যুগ্ম সম্পাদক, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কোতয়ালী বিএনপি’র সভাপতি রউফুন নবীসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকমীকে আটক করে।

এদিকে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশি বাধার প্রতিবাদে দলটির নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু ফরিদপুর প্রেসক্লাবে তাৎক্ষণিক এক প্রেসব্রিফিং করে পুলিশের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ফরিদপুরের ভারপ্রাপ্ত এসপি জামাল পাশা ঘটনার সত্যতা ও বিএনপি নেতাকর্মী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা অনাকাঙ্কিত। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আগামীতে যাতে এ ধরণের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে পুলিশকে সতর্ক করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!