• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএসএমএমইউতে নিতে চায় কারা কর্তৃপক্ষ, খালেদা জিয়ার না


আদালত প্রতিবেদক জুন ১১, ২০১৮, ১১:০৬ পিএম
বিএসএমএমইউতে নিতে চায় কারা কর্তৃপক্ষ, খালেদা জিয়ার না

ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিতে চায় কারা কর্তৃপক্ষ। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিতে রাজি নন। তিনি চাইছেন, বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে তার স্বাস্থ্যসেবা নিতে। বিএনপিও এ ব্যাপারে সহমত জানিয়েছে।

এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আগামী ১৪ জুন বৃহস্পতিবার সারা দেশে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। গত ৫ জুন খালেদা জিয়া পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে মাথা ঘুরে পড়ে যান। এরপর তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাকে দেখতে কারাগারে যান। ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাদের পরামর্শ রেখে এসেছেন কারা কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ অবস্থায় গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মঙ্গলবার (১২ জুন ) বিএসএমএমইউতে নেওয়া হবে। তিনি যদি রাজি থাকেন। তবে বিএনপির দাবি অনুযায়ী তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়ার কোনো সুযোগ এই মুহূর্তে কারাবিধিতে নেই।  

তিনি বলেন, জেল কোড অনুযায়ী সরকারি ব্যয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ নেই। অবশ্য সরকার চাইলে বেসরকারি হাসপাতালে কারো চিকিৎসায় অনুমোদন দিতে পারে বলে জানান তিনি। এক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যয় কে বহন করবে, কীভাবে করবে, তার ফয়সালা করতে হবে বলেও জানান আইজি প্রিজন্স।

এদিকে গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগেও একবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সেখানে সরকার সমর্থক দলবাজ চিকিৎসকদের দিয়ে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা হবে না।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিএসএমএমইউতে চিকিৎসা নিরাপদ মনে করেন না বলেই তিনি সেখানে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছেন না।

‘খালেদা জিয়া অজ্ঞান হননি। তার সুগার কমে গিয়েছিল’-অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের এমন বক্তব্যের জবাবে রিজভী বলেছেন, সুগার কমে গেলেও তা বিপজ্জনক। তবে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা বলেছেন, খালেদা জিয়া ‘ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক’ (টিআইএ) এ আক্রান্ত হয়ে ৫-৬ মিনিট অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।  

খালেদা জিয়ার ‘জ্ঞান হারানোর মতো এত বড় একটি দুঃসংবাদের পরেও কারা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, বরং দিনের পর দিন সময় ক্ষেপণ করে খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে আশঙ্কাজনক মাত্রায় নিয়ে যেতে চাইছে।’  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!