ঢাকা : গ্রাহক হয়রানি থেকে শুরু করে প্রতারণা, অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্টকে মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বিকাশের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিদেশে অবৈধ ব্যাংকিং করায় কমছে রেমিটেন্সের পরিমাণও।
এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির অপরাধমূলক লেনদেনের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
২০১১ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর দু-এক বছর পর থেকেই গ্রাহক হয়রানি, এসএমএস কারসাজিতে প্রতারণা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লেনদেনের অভিযোগ জমতে থাকে বিকাশের বিরুদ্ধে। এ তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে বিকাশ অ্যাপস হ্যাকিংয়ের মাধমে অর্থ লোপাটের ঘটনা।
একজন গ্রাহক বলেন, ‘একবার ২ হাজার টাকা নিয়ে গেল আমার কাছ থেকে। হ্যাকিংটা কীভাবে বন্ধ করা যায়? কেন বন্ধ করে না।’
এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশের বাহিরেও অবৈধ লেনদেন করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রেমিটেন্সে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরো শক্ত অবস্থানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক এই ডেপুটি গভর্নর।
সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সিঙ্গাপুরে দেখলাম বিকাশ টাকা পাঠাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইনভেস্টিকেশনের একটা দল আছে তাদের কাজই এগুলো ধরা।
বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ইতোমধ্যে খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, সিআইডি।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা তাদের ডেকেছিলাম, সামনে অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং করেন যারা তাদেরকেও ডাকব।
একচ্ছত্র কার্যক্রম পরিচালনায় অন্যান্য ব্যাংকের এজেন্টকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে বিকাশের এজেন্টের বিরুদ্ধে।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :